গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের (৯ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যে চার কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে।
Advertisement
বড় অঙ্কের বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি সপ্তাহজুড়েই ডিএসইর সব মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৯৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্য দিবসে ছিল তিন লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে তিন হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৭ শতাংশ।
Advertisement
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৩৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১০৭টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। কমেছে ২২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯০১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৬৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
Advertisement
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে চার হাজার ৫০৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় তিন হাজার ৫৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
অবশ্য জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহের রোববার লেনদেন হয়নি। সে হিসাবে গত সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় এক কার্যদিবস লেনদেন বেশি হয়েছে। যে কারণে শতাংশের হিসাবে প্রতিদিনের গড় লেনদেনের তুলনায় মোট লেনদেনের পরিমাণ বেশি বেড়েছে।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৩ দশমিক ১৩ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৮১ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ১৯২ কোটি ৩১ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিবিএস কেবলস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইফাদ অটোস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, শাশা ডেনিম, নাহি অ্যালুমেনিয়াম, সামিট পাওয়ার, কনফিডেন্স সিমেন্ট এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স।
এমএএস/এএইচ/পিআর