আন্তর্জাতিক

সুপার টাইফুন মাংখুটের পথে ৪০ লাখ মানুষের বাস

ফিলিপাইনের পথে অগ্রসর হচ্ছে সুপার টাইফুন মাংখুট। ফলে ৪০ লাখ মানুষ ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। ২০১৮ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী এই টাইফুনের প্রভাবে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। এই টাইফুনকে ক্যাটাগরি ৫ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মাংখুটের ছাড়াও বারিজাত নামে আরও একটি টাইফুন এসব এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার টাইফুন বাজিরাত আঘাত হানার মুখে চীনের নিম্নাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশ থেকে প্রায় ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

মাংখুটকে ফ্লোরেন্সের চেয়েও বেশি শক্তিশালীয় বলা হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছে ফ্লোরেন্স। শনিবার লুজোন দ্বীপে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে ঘন্টায় ২৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরেন্সের চেয়ে আরও বৃহৎ, শক্তিশালী এবং আরও বেশি বিপজ্জনক ঝড় মাংখুট। এর আকার এবং সক্ষমতার কারণে সরাসরি ভূমিতে আঘাত হানলে আরও লক্ষণীয় এবং ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এই সুপার টাইফুন।

যদিও ফ্লোরেন্সের আঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে তবে আরও বেশি ভয়াবহ এবং জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে মাংখুট টাইফুনকে। এটি প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস নিয়ে বিশাল এলাকায় আছড়ে পড়বে।

মাংখুট ইতোমধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে। সেখানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গুয়ামের বিভিন্ন স্থান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

ফিলিপাইনের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, লুজোন এবং ভিসায়াস দ্বীপপুঞ্জসহ ছয়টি প্রদেশে মাংখুটের প্রভাবে সাইক্লোনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

টিটিএন/এমএস