চারটি ফ্লাইটের ১৬৬ যাত্রীর লাগেজ ফেলে আসার অভিযোগে ওমানের সালাম এয়ারকে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ জরিমানা করেছেন ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। ওমানের মাস্কাট-ঢাকা-মাস্কাট রুটে চালু হওয়া এই এয়ারের প্রথম তিন ফ্লাইটেই লাগেজ ফেলে আসার ঘটনা ঘটে। প্রথম ফ্লাইটটি ছিল গত ২৯ আগস্ট। প্রথম তিন ফ্লাইটের অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন হাজি।
Advertisement
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যাত্রীদের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল বুধবার এয়ারটিকে এই জরিমানা করা হয়। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ জাগো নিউজকে বলেন, গত ২৯ আগস্ট থেকে ঢাকায় অপারেশন শুরু করে সালাম এয়ার। প্রথম ফ্লাইটেই এয়ারটি প্রায় ৪০ জন যাত্রীর ব্যাগ/লাগেজ ওমানে রেখে আসে। পরদিন ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় ফ্লাইটে ৩৫ জন যাত্রীর লাগেজ রেখে আসে তারা। ১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ফ্লাইটেও প্রায় ৩০ জনের ব্যাগ থেকে যায়। এই তিন ফ্লাইটের ১০৫ যাত্রীর অধিকাংশই ছিলেন হাজি, যারা জেদ্দা থেকে সালাম এয়ারে মাসকাট হয়ে ঢাকায় আসেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তাদের ওভি-২৮৩ নম্বর স্পেশাল ফ্লাইটে ৬১ জন যাত্রীর ১০৮ টি লাগেজ ফেলে আসে ফ্লাইটটি।
যাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ। অনুসন্ধানে তিনি জানতে পারেন, সালাম এয়ার ন্যারোবোডি ক্যারিয়ার হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের সক্ষমতার বাইরে গিয়ে যাত্রীপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ কেজি ওজনের লাগেজ আনার অনুমতি দিয়ে ‘সব টিকিট’ বিক্রি করে। এরপর প্লেনভর্তি (ফুললোড) যাত্রী নিয়ে আসছিল। এ কারণে প্রতি ফ্লাইটে তাদের ৪০-৫০ জনের লাগেজ আসছিল না।
Advertisement
ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ বলেন, এটি ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন। এ কারণে তাদের জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া জরিমানার পাশাপাশি ফেলে আসা সব লাগেজ দ্রুত এনে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অযৌক্তিক কারণে লাগেজ রেখে আসলে যাত্রীপ্রতি দুই লাখ করে জরিমানা আদায় করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরএম/জেডএ