প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি স্থাপনা। এই হোটেলে '৭১ সালে বঙ্গবন্ধু অনেক রাজনৈতিক মিটিং করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা এর নতুনরূপে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অাজ অান্তর্জাতিক মানের একটি স্থাপনা নতুন করে শুরু হলো। ঐতিহ্য অার অাধুনিকতায় নতুন করে সাজানো হয়েছে এই হোটেল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মো. মহিবুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি সাংবাদিক মার্কটালি এবং সায়মন্ড ড্রিংকসহ অনেকে এই হোটেলে উঠেছিলেন। পাকিস্তানি মিলিটারিরা খবর পেয়ে এই হোটেল ঘেরাও এবং অাক্রমণ করেছিল। রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকা সাংবাদিক সায়মন্ড ড্রিংক পালিয়ে যান। তিনি একমাত্র সাংবাদিক যিনি গণহত্যার ছবি তুলে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে অন্য সাংবাদিকরাও '৭১ এর হত্যা ও নির্যাতনের অনেক ছবি তোলেন।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু অার্থসামাজিকভাবে উন্নত হচ্ছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে অাসছেন সে কারণে উন্নত হোটেল প্রয়োজন। এ ছাড়া হোটেলটির অবস্থানও খুব সুন্দর জায়গায়। পাশে সবুজবেষ্টিত রমনা পার্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের ছোঁয়া একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের মানুষকে সুন্দর এবং উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে অামরা কাজ করছি। বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকলে, উন্নত জীবন পেলে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারবে। তখনই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
এফএইচএস/এসএইচএস/পিআর
Advertisement