চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে যাত্রীবাহী ‘এমভি রফরফ’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন পাঁচ শতাধিক যাত্রী। এমভি রফরফের ইঞ্জিন রুম থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে এ আগুন লাগে।
Advertisement
জানা গেছে, লঞ্চের আগুন নেভাতে এবং আতঙ্কিত হয়ে যাত্রীরা ছোটাছুটি করতে গিয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হন। অগ্নিকাণ্ডে লঞ্চের ইঞ্জিন, জেনারেটর, পাওয়ার সেকশন, হাওয়া মেশিন ও ডায়াস মেশিনসহ আট কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লঞ্চটি চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লঞ্চে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চাঁদপুর উত্তর, দক্ষিণ ও নৌ-ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
Advertisement
রফরফ লঞ্চের মাস্টার মো. মামুনুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, ইঞ্জিনটি চালু করার পরপরই বিকট শব্দ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে এ আগুন লাগে। দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিক যাত্রীদের টার্মিনালে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর লঞ্চে থাকা ও আশপাশের লঞ্চের স্টাফ, নৌ-টার্মিনালে থাকা ব্যবসায়ীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। ২০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
মেসার্স রাকিব ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির ম্যানেজার মো. ফরিদ আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমাদের লঞ্চের ইঞ্জিন, কেবিন ও আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় আট কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লে. এনায়েত উল্লাহ ও বন্দর পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক রতন কুমার বলেন, আমাদের তিনটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানানো হবে।
Advertisement
ইকরাম চৌধুরী/এএম/জেআইএম