বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মোর্শেদ আলম (নোয়াখালী-২) প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে বিকেল সোয়া ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে সরকারি খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৯৮৬ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট। প্রতিদিন চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মেরিট অর্ডার ডেসপাস অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
কামাল আহমেদ মজুমদারের (ঢাকা-১৫) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর দক্ষিণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর আওতাধীন বর্জ্য থেকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারিভাবে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইপিপি হিসেব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে ৩৫ মেগাওয়াট এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, বর্জ্য সরবরাহ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং সিটি কর্পোরেশন এর মাঝে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বর্জ্য ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য চলতি বছরের ২৭ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দরপত্র উন্মুক্তকরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এইচএস/এমআরএম/পিআর
Advertisement