রাজনীতি

স্পষ্ট করলেন ড. কামাল, সর্বদলীয় ঐক্যে জামায়াতকে না

নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় ঐক্যে জামায়াতে ইসলামী থাকছে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

Advertisement

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের করণীয় বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা হয়।

সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, না। তাদের (জামায়াত) নেয়া হবে না। এককথায় উত্তর ‘না’।

সাংবাদিকদের প্রশ্নটি ছিল, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যে সর্বদলীয় ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে সেখানে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী থাকছে কি না স্পষ্ট করুন।’

Advertisement

জামায়াত নিয়ে ড. কামাল আরও বলেন, জামায়াত দল হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেছেন। দল হিসেবে করেছে, এটাতো বলা যায় না যে ব্যক্তি হিসেবে করেছে। জামায়াত নিয়ে আমি যতদূর জানি, ওই দল থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কেউ ছিলেন কি না, তা জানতে পারলে আমাদের কাজে লাগবে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিলেন ড. কামাল

সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে আপনাকে পাওয়া যায় না আপনি বিমানের টিকেট কেঁটে রাখেন, ক্রান্তিলগ্নে আপনি তখন দেশের বাইরে চলে যান।’

প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের জবাবে ড. কামাল বলেন, একটি ব্যাপারে ২০০৭-০৮ এ আমরা যে মামলা করেছিলাম, তাতে ১ কোটি ৪০ লাখ ভুয়া ভোটটার বাতিল করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছিল। সর্বোপরি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে যখন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান থেকে সরালাম, তখন আমাদের চারজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মামলা হলো। এরপর ২০১০ সালে সে মামলা থেকে আমরা মুক্ত হলাম। তখন তো আমরা দেশ ছেড়ে চলে যাইনি। ২০০৮ এর নির্বাচন হতো না। আর হলেও এই ফলাফলও হতো না, যদি না ১ কোটি ৪০ লাখ ভুয়া ভোটা বাতিল করা না হতো।

Advertisement

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য ২০০৭ সালে ২৩টি শর্ত দিয়েছিলেন। ওই শর্তগুলো এখনও প্রযোজ্য হতো, যদি তিনি বর্তমানে বিরোধী দলে থাকতেন। বিরোধী দলে থেকে যখন শর্তগুলো সমর্থন করেছিলেন, আশা করি, সরকারে থেকেও তিনি সমর্থন করবেন।

সংবিধানের আরও কিছু সংশোধনী দরকার

‘সংবিধানের ৪৬ বছর পরে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সংবিধানের আরও কিছু সংশোধনী করা দরকার। এর মধ্যে কিছু ঘাটতি আছে, সেগুলো কীভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেগুলো লিখিত আকারে আপনারা দিন। তা একত্রিত করে, একটি কমিটি করে যেগুলো বিবেচনাযোগ্য, সেগুলো তুলে ধরা হোক। এই সংশোধনের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করাও যেতে পারে। সরকারই এই কমিটি গঠন করতে পারে। আর সরকার না পারলে আমরা কমিশন গঠন করতে পারি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভেোকট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফরিক প্রমুখ।

এফএইচ/জেডএ/পিআর