লাইফস্টাইল

অনলাইনে প্রেমের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সাবধান থাকবেন

একাকিত্ব দূর করতে দরকার পড়ে সঙ্গীর। সেই সঙ্গী হতে পারে পরিচিত কেউ, হতে পারে একদমই অচেনা একজন। এখনকার সময়ে বন্ধু কিংবা সঙ্গী তৈরি করতে সাহায্য করছে সোস্যাল মিডিয়া। এর মাধ্যমে সহজেই দেখা মিলছে মনের মানুষের। কিন্তু সেই ‘মনের মানুষ’ কতটা আপনার মনের মতো সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে সম্পর্ক না আগানোই ভালো। অনলাইনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে কিছু বিষয়ে-

Advertisement

আরও পড়ুন: যে ধরনের প্রেমিক থেকে দূরে থাকবেন

অনলাইনে যার সঙ্গেই আলাপ হোক না কেন একটা বিষয় সবসময় মাথায় রাখবেন, ওপাশের মানুষটিকে (সে ছেলে বা মেয়ে যে-ই হোক না কেন) আপনি একদমই চেনো না। ফলে তার সঙ্গে আলাপ করার সময়েও সতর্ক থাকবেন। যদি দেখেন আপনারও ‘নতুন বন্ধু’টি শুরুতেই বেশি ঢলাঢলির চেষ্টা করছে, আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, তাহলে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

অনলাইনে বেশি ফ্লার্ট যারা করে, তাদের কিন্তু বেশ একঘেয়ে একটা প্যাটার্ন হয়। একটু ভালো করে দেখলেই তো বোঝা যায় কে আসল আর কে নকল। হয়তো তার নিজের ছবি প্রোফাইলেই নেই। নেট-দুনিয়ায় গুগল করে সুন্দর সুন্দর ছেলে/মেয়ের ছবি জোগাড় করা কিন্তু কোনো ব্যাপারই নয়। তাই যার সঙ্গে রাত-দিন এত কথা বলছেন, তার প্রোফাইলটাও ভালো করে ঘেঁটে দেখুন।

Advertisement

অপর পাশের মানুষটি কি আপনার সঙ্গে সারাক্ষণ কথা বলতে চাইছে? বেশি কথা বললে অবধারিতভাবে ব্যক্তিগত জীবনের কথা আসবে, সে আপনার পার্টনার, সম্পর্কের খবর জানতে চাইবে। কিন্তু ব্যাপার যদি বেশি বাড়াবাড়ির দিকে যায়, তা হলে সাধু সাবধান! আর বেশি ছবি, সেলফি কিন্তু একদমই ইনবক্স করতে যাবেন না!

এসব ক্ষেত্রে ফোন নম্বর চাইতেই পারে অপরপাশের মানুষটি। আপনি যদি ব্যাপারটাকে এগোতে দিতে চাও, তাহলে ফোন নম্বর দিতে পারেন। কিন্তু তার আগে বারবার ভেবে নেবেন। কারণ একবার আপনি ফোন নম্বর দিলেন, আর তারপর সে আপনাকে উত্ত্যক্ত করে মারলো, এটা হতেই পারে। যেচে ঝামেলা এড়ানোই তো ভালো, তাই না?

অনলাইনের ব্যাপারটা যদি সিরিয়াসভাবে নেন এবং আপনিও যদি এব্যাপারে কনফিডেন্ট থাকেন, তাহলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ নিতে পারেন। হাজার হোক, অপর পাশের মানুষটিকে কিন্তু আপনি চেনেন না। তাই বিপদ হতে কতক্ষণ!

আরও পড়ুন: মেয়েদের যা দেখে ছেলেরা প্রেমে পড়ে

Advertisement

অনলাইনে এইসব ক্ষেত্রে খানিক পরেই আসে দেখা করার প্রস্তাব। আপনি কনফিডেন্ট হলে দেখা করতেই পারেন, আর যদি না চান, তাহলে সোজা না বলে দিন। দেখা করার ক্ষেত্রেও মাথায় রাখুন কয়েকটি জিনিস। আপনার অচেনা জায়গায় একদম যাবেন না।

এইচএন/পিআর