ফ্রি ভিসার নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা চলছে। বাস্তবে এর অস্তিত্ব না থাকলেও এই ভিসার নাম করে মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি দেশে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। বৈধ ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় এসব দেশে গিয়ে কোনো কাজ পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা। ফলে প্রবাসে অমানবিক জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
Advertisement
সম্প্রতি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ওমানে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানিয়েছে ওমানে জনশক্তি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশি ছাড়াও আরও ৭ হাজার বিদেশিকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২০ হাজার ৫৫৭, পাকিস্তানি ৩ হাজার ২৮৫ ও ভারতীয় শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৫ জন। আটকদের সামাইল সেন্ট্রাল জেলখানায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের কবে দেশে পাঠানো হবে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৫’শ বিদেশি শ্রমিক ওমানের শ্রম আইন লঙ্ঘন করছেন বা তাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। ওমানের স্থানীয় সংবাদপত্র এ খবর দিয়েছে।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট কাজের চুক্তির মাধ্যমে ভিসা ইস্যু হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভিসার সব খরচ নিয়োগদানকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বহন করে। ফ্রি ভিসা বলে কিছু না থাকলেও মূলত কিছু অসাধু বাংলাদেশি স্থানীয়দের যোগসাজশে ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা পদ্ধতি চালু করেছে।
ফলে সাধারণ শ্রমিক তার সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে কাজ না পেয়ে অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েন। এমনি জেল জরিমানার ফাঁদে পড়েন। মূলত এ ভিসার প্রচলন আছে কাতার সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোয়।
প্রকৃতপক্ষে, প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা তাদের আত্মীয়-স্বজনকে তাদের কাছে নেয়ার স্বার্থে এসব ভিসার সহায়তা নেন। এ ধরনের ভিসা নিয়ে গিয়ে বিপদে পড়বেন জেনেও বিদেশে পাড়ি জমান বলে দাবি করেন প্রবাসীরা।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রবাসীদের তালিকায় বাংলাদেশিরা সর্বোচ্চ। প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে দেশটিতে। নির্মাণ এবং আবাসন খাতে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশিদের বেশ সুনাম রয়েছে।
Advertisement
এমআরএম/পিআর