ফাতেমা (রা.) ও ওসমান (রা.) এর কবর কোন দুটি বলতে পারেন?-দোভাষীর সহায়তায় মদিনায় মসজিদে নববীর অদূরে জান্নাতুল বাকির (বাকিউল গরকাদ) ভেতরে একাধিক নিরাপত্তাকর্মীকে এমন প্রশ্ন করলে তাদের সবার উত্তর একটাই- ‘আল্লাহ মালুম (আল্লাহই ভালো জানেন)।’
Advertisement
পবিত্র ভূমি মদিনাতে বিভিন্ন দর্শনীয় ও জিয়ারতস্থানগুলোর মধ্যে জান্নাতুল বাকি নামক কবরস্থান অন্যতম। এটি মহানবী (সা.) এর যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মদিনাবাসীর কবরস্থান।
এ কবরস্থানে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর মেয়ে হয়রত ফাতেমা (রা.) ও ইসলামের তৃতীয় খলিফ ওসমান (রা.) সহ দশ হাজারেরও বেশি সাহাবিদের কবর রয়েছে। তবে কার কবর কোথায়, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল এলাকা জুড়ে পাথরের ছোট ছোট ঢিবির মতো কবর। শত শত বছরের পুরনো কবরগুলো সম্প্রতি দেয়া কবরের তুলনায় ছোট। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়- যখনই রাত আসত রাসুলুল্লাহ (সা.) শেষ রাতে বাকির উদ্দেশে বেরিয়ে পরতেন। তিনি বলতেন, ‘হে (কবরের) মুমিন সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। কাল কিয়ামত পযর্ন্ত তোমরা অবশিষ্ট থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। হে আল্লাহ! তুমি বাকিউল গারকাদ বাসীদেরকে ক্ষমা করে দাও।’
Advertisement
আয়েশা (রা.) থেকে অপর একটি দীর্ঘ হাদিসে বর্ণিত আছে, জিবরাইল (আ.) বলেন- নিশ্চয়ই আপনার রব আপনাকে নির্দেশ দেন যে, আপনি বাকিবাসীদের (জান্নাতুল বাকি) নিকট আসবেন ও তাদের জন্য ক্ষমা চাইবেন।
পক্ষান্তরে যেসব হাদিসে পাওয়া যায় যে, বাকি কবরস্থানে সত্তর হাজারের একটি দল পুনরুত্থিত হবে যারা বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন বা তার অধিবাসীগণ নবী (সা.) এর সাথে পুনরুত্থিত হবেন ও তার সঙ্গেই হাশর হবে এবং তারা কবরের আজাব থেকে নিরাপদ থাকবেন- এর কোনো কিছুরই বিশুদ্বতা নেই।
এমইউ/এসআর/আরআইপি
Advertisement