আকাশবীণাকে নিয়ে ভুল সংবাদে বিমানের প্রতিবাদ

বিমানের নতুন উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আকাশবীণাকে নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম ভুল তথ্যসম্বলিত সংবাদ পরিবেশন করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

বুধবার বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ প্রেরিত এক বার্তায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে বিমানের নতুন উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আকাশবীণাকে নিয়ে ভুল তথ্যসম্বলিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বিমান কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। প্রকাশিত কিছু সংবাদে বলা হয়েছে ‘ভেঙে পড়েছে আকাশবীণার দরজা’। আকাশবীণার দরজা ভাঙার বিষয়টি সত্য নয়, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমনকি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটিও আকাশবীণার নয়। আকাশবীণার কোনো দরজা ভাঙেনি। বিমানটির কোনো দরজার কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

প্রকৃতপক্ষে জরুরি নির্গমন দরজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি র‌্যাফ্ট খুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসে ড্রিমলাইনার আকাশবীণা। যাত্রী নেমে যাওয়ার পর নিয়মিত গ্রাউন্ড চেকের অংশ হিসেবে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয় বিমানটি। পরবর্তী ফ্লাইটের যাত্রীদের খাবার বিমানে ওঠানোর জন্য দরজা খোলার সময় র‌্যাফ্ট খুলে যায়।

এ প্রেক্ষিতে প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা আইকাও, সিভিল এভিয়েশন এবং উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সম্পন্ন করেন এবং ওইদিন সকালে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরে ড্রিমলাইনারের নির্ধারিত ফ্লাইট ১৮ মিনিট দেরিতে ছাড়ে।

বার্তায় আরও বলা হয়, উড়োজাহাজটি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে এবং বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। র‌্যাফ্ট খুলে যাওয়ার বিষয়ে কারো কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না সে বিষয়ে একটি তদন্তে কমিটি গঠিত হয়েছে। বিমানের উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার সম্পর্কে ভুল তথ্যসম্বলিত সংবাদটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং একই সঙ্গে জাতীয় পতাকাবাহী রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

এ প্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমূহকে ভুল তথ্যসম্বলিত সংবাদ সংশোধন এবং এদ্তসংক্রান্ত প্রতিবাদ যথাযথ গুরুত্বসহকারে প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছে এবং একই সঙ্গে বিমানসম্পর্কিত কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে প্রয়োজনে জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা যাচ্ছে।

আরএম/বিএ