ক্যাম্পাস

বৃদ্ধা নারীকে দোকান করে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা

দুদিন আগেও বড় পরিবারের ভরণপোষণ, দুই নাতি-নাতনির পড়াশোনার খরচ, অসুস্থ ছেলের চিকিৎসা ব্যয় সবকিছুর জন্য লজ্জা-সংকোচ চেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে হাত পাততে হতো বৃদ্ধা হনুফা বেগমকে। তবে মানুষের কাছে সাহায্যের বিষয়টি পীড়া দিত তাকে। তার ইচ্ছে ছিল নিজের একটি কর্মসংস্থানের। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ হলো তার।

Advertisement

বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে দোকান পেলেন তিনি।

সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে রাবি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান এহসানের। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজের উদ্যোগ ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হলো হনুফার।

রাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হনুফা বেগমকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সিনিয়র এএসপি কাজী শাহনেওয়াজ টোকন, ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম সাকলায়েন শিথিল এবং নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের এসি একরামুল হক।

Advertisement

বুধবার তাদের সহযোগিতায় রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ফটকের সামনে হনুফা বেগমকে একটি অস্থায়ী দোকান করে দেন ছাত্রলীগ নেতা এহসান। এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হুসাইন মিঠু ও শাখা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

হনুফা বেগম জানান, ছেলে অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণসহ নাতি-নাতনির পড়াশোনার খরচ, ছেলের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হতো তাকে। এ জন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে হাত পাততেন তিনি।

দোকান পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার ভিক্ষা করতে ইচ্ছে হয় না, নিরুপায় হয়ে করতাম। এখন ক্যাম্পাসের ছাত্ররা আমাকে একটি দোকান করে দিয়েছে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান এহসান বলেন, মানুষ মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সামান্য উদ্যোগই কিন্তু একটি মানুষ বা একটি পরিবারের জীবনই বদলে দিতে পারে। হনুফা খালা একটা দোকান চেয়েছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে একটি দোকান করে দিয়েছি, ভবিষ্যতে আরও বড় দোকান করে দেয়ার ইচ্ছে আছে। হনুফা খালার প্রয়োজনে আমরা এগিয়ে এসেছি, এতে তার যদি উপকার হয় তাতেই আমাদের সার্থকতা।

Advertisement

এমএএস/জেআইএম