চট্টগ্রাম বন্দরে বিদ্যুতের সরবরাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উইন্ড পাওয়ারকে (বায়ুশক্তি) ব্যবহার করা যায় কিনা তা পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে নির্বাচনকালীন সময়ে বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম যাতে চলমান থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
Advertisement
জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ ও সুপারিশ করা হয়।
সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় জানানো হয়, এনসিটি ইক্যুপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫১টি ইক্যুপমেন্টের মধ্যে সম্প্রতি রেল মাউন্টেন্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ ১০টি হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট সংগৃহীত হয়েছে। এছাড়া ভোজ্য তেল খালাস করার জন্য ডলফিন অয়েল জেটি-৩ নামে নির্মিত হয়েছে নতুন জেটি। যার ফলে চবক’র সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, ২০২৫ সালের প্রক্ষেপণকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের গৃহীত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ওভার ফ্লো কন্টেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনালে ডেলিভারি ইয়ার্ড এবং পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে, লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল ২০২১ সালের মধ্যে, বে-টার্মিনাল ফেইজ-১ আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে এবং মাতার বাড়ি পোর্টের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
Advertisement
কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য মো. আব্দুল হাই, মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. হাবিবর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন অংশ নেন।
এইচএস/জেএইচ/জেআইএম