আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে ইনজুরি স্কিম চালু করতে মালিকরা প্রস্তুত হয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
Advertisement
বুধবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালক অ্যান ড্রইনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইএলও এর পরিচালক এসেছিলেন আমাদের দেশে ইনজুর স্ক্রিমের বিষয়ে আলোচনার জন্য। আইএলও বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য ইনজুর স্কিম চালু করতে প্রস্তাব দিয়েছে। চালু করলে বিভিন্নভাবে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবে। আমরা বলেছি বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখনই ইনজুর স্কিম করার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদের নেই, মালিকরা প্রস্তুত নয়। তবে এটা ভালো কনসেপ্ট। দুর্ঘটনা হলে শ্রমিক যদি অক্ষম হয়ে যায় সে কীভাবে চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি আরও কাগজপত্র দিতে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলব, আলাপ আলোচনার পর এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করব। সামনে নির্বাচন এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নয়। পরবর্তীতে যে সরকার আসবে তারা এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে।’
Advertisement
শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে আছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সংসদে যাবে। চলতি এই অধিবেশেই আইনটি সংসদে নিতে পারব বলে আশা করছি, তবে পাস হবে অক্টোবরের অধিবেশনে। এই সংসদ থাকতেই সংশোধিত শ্রম আইন পাস করব, এটা আইএলও এবং শ্রমিকদের কাছে আমাদের কমিটমেন্ট।’
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইনে ৪৯টি সংশোধনী আনা হচ্ছে যার সবগুলো শ্রমিকদের পক্ষে। সবচেয়ে সুখের বিষয় হল ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এসব সংশোধনী করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আলাদা আইনে ইপিজেড পরিচালিত হয়। ওই আইনে শ্রমিকদের জন্য ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। শুধু নামে আলাদা শ্রম আইন অনুসরণ করে বাকিগুলো করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নের মতোই তারা কাজ করতে পারবে। ট্রেড ইউনিয়নই প্রায় নামটা শুধু আলাদা।’
আরএমএম/এমবিআর/পিআর
Advertisement