রফতানির পালে হাওয়া লেগেছে। অর্জিত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা, প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। চলতি অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত পণ্য রফতানি হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময় এর পরিমাণ ছিল ৬৬২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ রফতানি হয়েছে শুধুমাত্র পোশাক খাতে।
Advertisement
মঙ্গলবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের (জুলাই-আগস্ট) রফতানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, প্রথম দুই মাসের মোট পণ্য রফতানিতে ৫৭৩ কোটি ৫১ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে তিন দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে রফতানি হয়েছিল ৫৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।
চলতি অর্থবছর পোশাক রফাতনির লক্ষ্যমাত্রা তিন হাজার ২৬৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছর রফতানি হয়েছে তিন হাজার ৬১ কোটি ডলারের পোশাক। তবে এই পরিসংখ্যানের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও আগস্টে উল্টো কমে গেছে প্রায় ১২ শতাংশ হয়েছে।
Advertisement
এর কারণ হিসেবে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জুলাইয়ে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি হওয়ার কারণ হলো, তার আগের মাসে ঈদের ছুটি থাকায় রফতানি কম হয়েছিল। যা জুলাইয়ের নিয়মিত রফতানির সঙ্গে হয়েছিল। ফলে প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ঠিক একই কারণে আগস্টেও রফতানি কমে যায়। এ মাসের শেষ ১০ থেকে ১২ দিন কারখানাগুলো বন্ধ ছিল।
এদিকে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি থাকলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি ২৬ শতাংশের বেশি কমে গেছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৮ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। কিন্তু গত অর্থবছর একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ২৪ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য, ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল, ১৩ কোটি ১১ লাখ ডলারের পাট ও পাটপণ্য, ৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের প্রকৌশল পণ্য রফতানি হয়েছে।
জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য পণ্য রফতানিতে তিন হাজার ৯০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছর রফতানি হয়েছিল তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ডলারের পণ্য।
Advertisement
এমএ/বিএ