অর্থনীতি

ইন্দো-বাংলার শেয়ার পেলেন যারা

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে লটারির মাধ্যমে এই শেয়ারপ্রাপ্ত বিনিয়োগকারী নির্ধারণ করা হয়।

Advertisement

আইপিওতে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রাপ্তদের তালিকা দেখতে নিচের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করুন।

১. স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রেক নম্বর/মার্চেন্ট ব্যাংক সিরিয়াল নম্বর

২. সাধারণ বিনিয়োগকারী

Advertisement

৩. ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী

৪. প্রবাসী বিনিয়োগকারী

৫. অল ইলিজিবল ইনভেস্টর

কারখানা, প্রশাসনিক ভবন, গুদাম ও গ্যারেজ ভবন নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতের ব্যয় মেটাতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করার অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

Advertisement

বিএসইর অনুমোদন নিয়ে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস ১০ টাকা অবিহিত মূল্যে আইপিওতে ২ কোটি শেয়ার ছাড়ে। একদফা পিছিয়ে গত ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি।

আইপিওতে চাহিদার অতিরিক্ত আবেদন পড়ায় শেয়ারপ্রাপ্ত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে লটারির আয়োজন করা হয়। আইপিওতে ৩৪ দশমিক ২৪ গুন বেশি টাকার আবেদন জমা পড়ে।

এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস) ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার এবং ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস ব্যতীত) ১৩৫ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার আবেদন পড়ে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটির আইপিওতে রেকর্ড পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবেদন করে। আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি শেয়ার। অর্থাৎ ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিও’র মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। তবে এই ১০ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৭৫৭টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করে। এর আগে কোনো কোম্পানির আইপিওতে এত বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেননি।

ইন্দো-বাংলার আগে এতদিন প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনে শীর্ষে ছিল এমএল ডাইংয়। কোম্পানিটির শেয়ার পেতে ৭৪৩ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আইপিওতে আবেদন করে। এমএল ডাইংয়ের পরের অবস্থানে থাকা সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিওতে ৭৩৫ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেছিল। আইপিওতে ৭০০ উপরে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর আবেদন পড়া আর একটি কোম্পানি ভিএফএস থ্রেড ডাইং। এ প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে ৭০৬টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের রেকর্ডসংখ্যক আবেদন পাওয়া ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পুঁজিবাজেরর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বছরের ৩ অক্টোবর অনুমোদন দেয়।

এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে।

এমএএস/জেডএ/এমএস