আন্তর্জাতিক

ইরানের আকাশসীমা ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

ইরানের আকাশসীমা ব্যবহারের সময় সাবধান থাকতে এয়ারলাইন্সগুলোকে নতুন সতর্কবার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের আকশসীমা ব্যবহারে সামরিক হামলার আশঙ্কা এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে একটি যুদ্ধবিমানের দ্বারা অজ্ঞাতনামা এক মার্কিন বেসামরিক বিমানকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রেক্ষিতে এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

রোববার মার্কিন অপারেটরদের দেওয়া এক নতুন নির্দেশনায় এ সতর্কবার্তা দেয় দেশটির ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ২০১৭ সালের ওই ঘটনায় এক বছর পূর্তির আগেই সতর্কবার্তা জারি করা হলো।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়া যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ইরান তাদের আকাশসীমা থেকে সামরিক হামলা চালাচ্ছে দেশটিতে। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির দেশের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্প গত মে মাসে পুনরায় তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দু'দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।

এয়ারলাইন্সের কাছে আকাশসীমা সম্পর্কে নিরাপদ বার্তা প্রদানকারী সংস্থা ফ্লাইট সার্ভিস ব্যুরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হতে থাকায় বিপদপ্রদানকারীর সংকেত ছাড়া ইরানের আকশসীমায় ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রুপ ইমেইলের মাধ্যমে যাত্রীদের জানায়, গত বছর নভেম্বরে ইরাকের আকাশসীমা খুলে দেওয়া হলেও সেখানে অতিরিক্ত রুটের ব্যবস্থা করা হয়। কেননা ওই অঞ্চলে কোনো নিখুত রুট নেই। তাই অপারেটরকে ইরাক এবং ইরানের মধ্য থেকে একটিকে বাছাই করে নিতে হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর নির্বিচারে গ্রেফতার এবং আটকের কারণে দেশটির নাগরিকদের ইরানে ভ্রমণ না করার উপদেশ দিয়েছেন। ফ্লাইট সার্ভিস ব্যুরো জানিয়েছে, মেডিকেল এবং টেকনিক্যাল কারণে ইরানে আমাদের একটি বিমান অবতরণের ঘটনার পর থেকেই এ সমস্যা শুরু হয়।

এছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ইরাকের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ এবং স্বশস্ত্র যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে নাগরিকদের দেশটিতে ভ্রমণ না করার উপদেশ দেয়। সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ২১০৭ সালের ডিসেম্বরে এক নির্দেশনায় মার্কিন এয়ারলাইন্সগুলোকে ২৬ হাজার ফুট অ্যালটিটিউডের নিচ দিয়ে চলাচল করার নির্দেশ দেয়।

টিটিএন/পিআর

Advertisement