পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স। এটি ক্যাটাগরি ৪ মাত্রায় আঘাত হানতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ৫ মাইল গতিতে উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। সাউথ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়ার কিছু অংশ এবং নর্থ ক্যারোলিনা থেকে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে লাখ লাখ বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
সোমবার সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সাউথ ক্যারোলিনা থেকেই ১০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা ছেড়ে পর্যটকরাও অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স। সে সময় এটি ৩ বা ৪ ক্যাটাগরি ধারণ করবে। সোমবার বিকাল থেকেই ঘণ্টায় ১৪০ মাইল বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে।
মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্যাটাগরি ১ থেকে ক্যাটাগরি ৪য়ে রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলকে লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হুগোর পর ফ্লোরেন্স হবে ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
Advertisement
নর্থ ক্যারোলিনার রয় চোপার বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই দুর্যোগ সতর্কতা জারি করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে চোপার বলেন, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমরা ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্সকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছি।
সোমবার বিকেলে এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ফেডারেল সরকার ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং লোকজনকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে তিনি কয়েক দফা সতর্কতা জারি করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে এটাই হবে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার ঝড়ের আঘাতে উইলমিংটন, নর্থ ক্যারোলিনাসহ বেশ কিছু স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement
টিটিএন/পিআর