মার্কিন সেনাদের বিচারের চেষ্টা করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মার্কিন সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে।
Advertisement
আইসিসিকে একটি ‘অবৈধ’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তিনি বলেন, আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সবকিছুই করবে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০২ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগেতে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আদালতে এখনও যোগ দেয়নি বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালত সম্পর্কে সব সময়ই সমালোচনা করে আসছেন জন বোল্টন। তবে সোমবার ওয়াশিংটনে আইসিসি সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। সেখানে দু’টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রথমটি হলো গতবছর আইসিসির কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদার করা একটি আবেদন নিয়ে। ওই আবেদনে আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথাও বলা হয়েছে সেখানে। এই ইস্যুতে বোল্টন বলছেন, আফগানিস্তান বা আইসিসির কোনো সদস্য দেশ কোন অভিযোগ করেনি।
Advertisement
অপরটি হচ্ছে, গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগের তদন্ত করতে ফিলিস্তিনিদের চেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্র ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনের কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর পেছনে তাদের আইসিসিতে যাওয়ার চেষ্টাও একটি কারণ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে কোন ধরনের বিচার প্রক্রিয়া আমেরিকার সার্বভৌমত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বলে উল্লেখ করেন বোল্টন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা আইসিসিকে কোন ধরনের সহযোগিতা করব না। আমরা আইসিসিতে যোগ দেব না।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement