স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এশিয়ার সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট হচ্ছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও নির্দেশনায় হাসপাতালটি গড়ে তোলা হচ্ছে।
Advertisement
খুব দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে সর্বাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর চানখাঁরপুলে নির্মাণাধীন ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, বার্ন ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামসহ সেনাবাহিনী ও বার্ন ইউনিটের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সভাকক্ষে সেনাবাহিনী ও ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বার্ন ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
Advertisement
তথ্য মতে, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রকল্পের ১৮তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এরই মধ্যে ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি আমদানি ও স্থাপনসহ সেবা কার্যক্রম চালুর জন্য সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকছে।
সাধারণ ওয়ার্ডের পাশাপাশি ২০টি আইসিইউ বেড, পুরুষ বেড ২৪টি ও মহিলাদের জন্য ২৪টি বেড থাকছে। এছাড়া পোস্ট অপারেটিভ বেড ৩২টি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বার্ন ১৬টি ও ১৬টি প্লাস্টিক সার্জারি রোগীদের জন্য। পেয়িং বেড থাকবে ২৪টি।
রোগী পর্যবেক্ষণ রুমে বেড থাকবে ১০টি। চারটি অপারেশন থিয়েটার নিয়ে থাকবে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স। সেখানে একটি জরুরি বিভাগ থাকবে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর অপারেশন হবে এই বিভাগে। ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা পাওয়া যাবে জরুরি বিভাগ থেকে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে সব সময়ই অপারেশনের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্মৃদ্ধ পরীক্ষাগার ও নিজস্ব ব্লাড ব্যাংকও থাকবে অপারেশন থিয়েটার বিভাগে।
এমইউএইচ/এমএআর/এমএস
Advertisement