জাতীয়

মোজাম্মেল হক চৌধুরী ষড়যন্ত্রের শিকার

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সামসুদ্দীন চৌধুরী।

Advertisement

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে যাত্রী কল্যাণ সমিতি অত্যন্ত গঠনমূলকভাবে সততার সঙ্গে যাত্রী অধিকার আন্দোলনকে চাঙা করেছেন। সবাই এ আন্দোলনকে নৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন। সড়ক নিরাপত্তায় সরকার যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি কাজ করে।

তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য কাউকে দায়ি করা না। যাত্রী সাধারণের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ দেখিয়ে দেয়া। দেশের ১৬ কোটি যাত্রীকে যারা জিম্মি করেছেন তারা গুটিকতক। এই অপশক্তি কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দিয়ে, ভুল বুঝিয়ে নিজেদের অপকর্ম ও সড়কে নৈরাজ্য চালানোর জন্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। এই হুমকি-ধমকি তাকে যাত্রী অধিকার আন্দোলন থেকে বিরত করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। ওই মামলাও প্রমাণ করতে না পেরে আজ (সোমবার) ফেব্রুয়ারি মাসের এক বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

Advertisement

এ সময় মোজাম্মেল হক চৌধুরীর স্ত্রী বিজু আক্তার চৌধুরী বলেন, 'আমি এখন কোনো কথা বলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। শুধু প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ যেন আমার স্বামীকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি সব যাত্রীর পক্ষ থেকে শুধু এটুকুই বলেছে যে রাস্তায় বের হলে যেন তারা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন। এমন নিরীহ একটি সংগঠনের নেতাকে যদি রিমান্ডে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটে হবে হতবাক হতে হয়। অথচ সব ক্ষেত্রে শোনানো হচ্ছে সরকার গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখছে, তাদের উন্নয়নের কোনো তুলনা নেই।

তিনি বলেন, 'এমন উন্নয়ন হচ্ছে যে, রাস্তায় প্রতিদিন ১০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। উন্নয়নের নানা ক্ষেত্র আছে, কিন্তু সব জায়গায় মানুষের সব সময় সম্পৃক্ত হতে হয় না। কিন্তু মানুষকে প্রতিদিন পথে নামতে হয়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হয়। এটি মৌলিক অগ্রাধিকারের জায়গা। রাষ্ট্র যদি সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে না পারে তবে আমরা কথা বলবো না? আমরা সোচ্চার হবো না?' তিনি মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে মানবাধিকারকর্মী হিসেবে উপস্থাপন করে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী যেসব তথ্য উপস্থাপন করতেন, তাতে সড়কের নৈরাজ্য প্রায়ই উন্মোচিত হতো। কয়েক বছর ধরে তিনি যে কাজ করে যাচ্ছিলেন, তাতে তিনি তো প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু এ বিষয়গুলোও সরকার সহ্য করতে পারছে না।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি খায়রুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন আহেমদ, নির্বাহী সদস্য আমান উল্যাহ মাহফুজ, ঢাকা মহানগর যাত্রী কল্যাণ সমিতির সদস্য মনিরুজ্জামান, মো. ফারুক প্রমুখ।

এইউএ/এমএমজেড/পিআর