আইন-আদালত

বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা, খালেদার রিটের শুনানি কাল

দুর্নীতি মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালে দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের বিষয়ে শুনানি ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

আবেদনটির ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

সোমবার দুপুরে রিট শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন আদেশ দেন।

আদালতে এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান ও অ্যাডভোকেট এম জে আক্তার জাকির।

Advertisement

এর আগে শুনানির জন্য খালেদা জিয়ার আবেদনটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৬৫ নম্বরে ছিল। তবে শুনানির প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে আজ আদালতে সময় আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এরপর আদালত সময় আবেদনটি মঞ্জুর করে ‘নট টুডে’ আদেশ দেন।

দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চেয়ে হাইকোর্টের রিট আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। গত ৯ সেপ্টেম্বর রিট দায়েরের পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রিটে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশ এবং এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনসহ মোট ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য বিশেষ আদালত স্থাপন-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে বিশেষ জজ আদালত-৫ হিসেবে ঘোষণা করা হলো।

Advertisement

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, এখন থেকে বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন মামলা নং ১৮/২০১৭ এর বিচার কার্যক্রম পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নং-৭ এর অস্থায়ী আদালতে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর গত সপ্তাহে ওই আদালতে বিচার চলাকালীন খালেদা জিয়া বলেন, আমি অসুস্থ। পা ফুলে যায়। আপনারা যা ইচ্ছা রায় দেন, আমি আর আসতে পারবো না।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে আদালত তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

এফএইচ/এমএআর/পিআর