জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার চাঁদপুর গ্রামের অলিউদ্দিন তরফদার। গ্রামের সাড়ে ১৭ কাঠা জমি ও হালের ৫টি গরু বিক্রি করে এ বছর সস্ত্রীক হজে এসেছেন। বর্তমানে তারা মদিনায় অবস্থান করছেন।
Advertisement
বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক নিজ চোখে দেখতে ও রিয়াজুল জান্নাতে (বেহেশতের বাগান) নামাজ আদায়ের জন্য রোববার সকাল ৯টায় মদিনার মসজিদে নববীর ২ নম্বর গেটে আসেন।
দুই ঘন্টা যাবত দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে কয়েক দফা নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে অবশেষে রিয়াজুল জান্নাতে পৌঁছান। এরপর নবীজির রওজার পাশেই বেহেশতের বাগান খ্যাত রিয়াজুল জান্নাহ মসজিদে নামাজ আদায় ও মহানবীর রওজা দেখে অভিভূত হয়ে চোখের পানি ফেলেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে অলিউদ্দিন জানান, গত ৫ আগস্ট তিনি সস্ত্রীক পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব পৌঁছান। হজ করতে দু’জনের জন্য ৬ লাখেরও বেশি টাকা খরচ করেন।
Advertisement
তিনি জানান, এই অর্থ জোগাতে তিন লাখ টাকায় সাড়ে ১৭ কাঠা জমি ও হালের পাঁচটি গরু ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এছাড়া মেয়ের জামাই ৩০ ও ছেলের বউ ২০ হাজার টাকা দেন। নবীজির রওজা পরিদর্শন ও রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ পড়তে পেরে তিনি ধন্য।
রিয়াজুল জান্নাতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভিন্ন হাদিসের উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারি হজ দলের সুপারভাইজার সারোয়ার হোসেন জানান, নবীজির মিম্বর ও ঘরের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানের বিপরীত দিকে অবস্থিত। অনেকের মতে স্থানটি প্রকৃতই জান্নাতের বাগান। আখেরাতে এ স্থানকে জান্নাতে রূপান্তরিত করা হবে। আবার অনেকের মতে, এ স্থানে রহমত নাজিল হয়, আর এখানে জিকিরের আসর কায়েম করলে সৌভাগ্য অর্জিত হয়। সে হিসেবে এটি জান্নাতের বাগানের মতো।
তিনি জানান, বর্তমানে যে স্থানটিতে মহানবীর রওজা রয়েছে সেখানে ছিল তার সহধর্মিনী হজরত আয়েশা (রা.) এর বাড়ি। এ বাড়িতে আয়েশার কোলেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এখানেই তাকে দাফন করা হয়।
অলিউদ্দিনের মতো হাজার হাজার হাজি এখন মদিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বাইরে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করছেন।
Advertisement
এমইউ/এমএমজেড/পিআর