রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮'তে সবগুলো ম্যাচে খেলেছেন অলিভিয়ের জিরু। তার দল ফ্রান্স দুর্দান্ত খেলে সবগুলো ম্যাচেই ইতিবাচক ফল পেলেও পুরো টুর্নামেন্টে একটি গোলও করতে পারেননি তিনি। শুধু গোল নয়, লক্ষ্যের দিকে একটি শটও নিতে পারেননি ৩১ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপ শেষে জার্মানির বিপক্ষে উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও নিষ্প্রভ ছিলেন জিরু, কোনমতে ড্র করতে পেরেছিল ফ্রান্স
Advertisement
অবশেষে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের কাজের কাজ করতে পেরেছেন জিরু। ফ্রান্স রক্ষা পেয়েছে তার করা গোলেই। উয়েফা নেশনস লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। দলের পক্ষে অন্য গোল করেন বিশ্বকাপের উদীয়মান তারকা কাইলিয়ান এমবাপে। নেদারল্যান্ডের এক গোল দেন রায়ান বাবেল।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটেই প্রথম গোল পায় ফ্রান্স। নেদারল্যান্ডের খেলোয়াড় প্রোমেন্স হেড দিয়ে বল বাড়িয়েছিলেন সতীর্থের দিকে। কিন্তু মাঝে এসে বলের দখল নেন ব্লেসিং মাতৌদি। তিনি বল সামনে বাড়ান ফাঁকায় থাকা এমবাপের দিকে। ১৯ বছর বয়সী এ তরুণের নিখুঁত শটে ম্যাচে লিড নেয় ফ্রান্স।
প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু আগের ১০ ম্যাচের ধারা বজায় রেখে আবারও গোল করতে ব্যর্থ হন জিরু। যদিও পরে দ্বিতীয়ার্ধে তার পা থেকেই আসে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি। ১-০তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৬৭তম মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করে নেদারল্যান্ড। ডান দিকে সতীর্থ তেতের বাড়ানো বল ধরে ফ্রান্সের গোলরক্ষক আরিওলাকে পরাস্ত করেন বাবেল। তবে সাত মিনিটের বেশি সমতায় থাকতে পারেনি নেদারল্যান্ড।
৭৪তম মিনিটেই জয়সূচক গোলটি করেন জিরু। পরিবর্তিত খেলোয়াড় বেঞ্জামিন মেন্ডির বাম পাশ থেকে আসা ক্রসে পা ছুঁইয়ে ১১ ম্যাচ পর ফ্রান্সের পক্ষে গোল করেন জিরু। এই গোলের মাধ্যমে ফ্রান্সের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় জিনেদিন জিদানকে পেছনে ঠেকে চার উঠে গেলেন তিনি।
ম্যাচের বাকি সময়ে বেশ কিছু আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় নেদারল্যান্ড। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলের স্বস্তির জয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
এসএএস/জেআইএম
Advertisement