চ্যানেল আইতে প্রচার শুরু হচ্ছে কাজী শাহেদ আহমেদের মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক ‘ভৈরব’। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সঞ্চয় কান্ত এবং এটি পরিচালনা করেছেন তাহের শিপন। আগামী ১২ আগস্ট থেকে নাটকটি প্রচার হবে প্রতি বুধবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে।ভৈরবে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, মুনিরা মিঠু, রওনক হাসান, হাসিন রওশন, শাহেদ শরীফ খান, সাবিহা জামান, হারুনুর রশিদ, বিথী রানী সরকার, সৈকত প্রামানিক, তিনু করিম, মাহবুবা রেজানুর প্রমুখ। নাটকের গল্পে দেখা যাবে একটি বিশেষ চরিত্রকে কেন্দ্র করে ১৯৭১ সাল এবং তৎপূর্ববর্তী ঘটনাবলী। ভৈরব এই কাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান চরিত্র। যিনি ইংরেজদের গোলামী করবেন না বলে স্কুল থেকেই পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে সব মুক্তিযোদ্ধা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়।এই গল্পটির কাহিনীকাল প্রায় ৭৩ বছরের। সেখানে ভৈরবই অস্তিত্বমান রয়েছেন ৭১ বছর। ১৯৭১ সালটি এই গল্পের কাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, পাকিস্তানি সৈন্যরা এলাকার রাজাকার, কমান্ডার, খালেক ও তার ভাই মসজিদের ইমাম মালেকের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে তার কন্যা ও নাতনীকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। ভৈরব পরে এসব ঘটনা জানতে পেরে ইমাম মালেকের মাথা কুঠারের আঘাতে দ্বিখন্ডিত করে। এসময় তার মুখে সংলাপ উঠে, ‘এই নে তোর পাকিস্তান দুই ভাগ করে দিলাম।’ভৈরব অতি রক্ষণশীল মুসলিম সমাজের অর্গল ভেঙে তার প্রণয়িণী শিউলির সঙ্গে নানা বিস্ময়কর অভিসারে সাহসের পরিচয় দেন। তেমনি আবার সমাজের দুস্কৃতকারী ও অপরাধীদের দমনে তিনি তার আবাল্য সহচর খোকন ও দুলাল, তাদের কথা এবং সমাজের নানা চিত্র গল্পটিতে যতটা সম্ভব তুলে ধরা হয়েছে।যেগুলোর প্রতি ভৈরবের কৌতুকপূর্ণ ও তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি গল্পটির কাহিনীর আর একটি শক্তিশালী দিক। ভৈরবের সিদ্ধান্ত ও কর্মপদ্ধতি এবং অভিযান পরিচালনা দর্শকদের কিছুটা হলেও বিবেক বোধে নাড়া দিবে।এলএ/পিআর
Advertisement