প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইমরান খান যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, সেগুলো দারুণ প্রশংসিত হচ্ছে এবং হয়েছে। সাধারণ নাগরিকের জন্য নেয়া তার এসব পদক্ষেপের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থ। যে কারণে, দলপ্রীতি, স্বজনপ্রীতি কোনোকিছুই দেখাচ্ছেন না তিনি।
Advertisement
এমনকি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাহী পদে দেশটির সাবেক ওপেনার মাজিদ খানকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান এহসান মানি। নিজের আত্মীয় বলে এহসান মানির এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যিনি একই সঙ্গে পিসিবির চিফ প্যাট্রনও।
যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে এই খবরকে ভুল বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানের মূলধারার প্রতিটি মিডিয়াতে বেশ গুরুত্বদিয়েই চাপানো হয়েছে এই সংবাদ। মাজিদ খান হলেন ইমরানের মামাতো ভাই। ৭০-৮০ দশকে ইমরান খান এবং মাজিদখান মিলে একই সঙ্গে পাকিস্তানের হয়ে অনেকগুলো ম্যাচও খেলেছিলেন।
পাকিস্তানের দ্য ডন পত্রিকা জানাচ্ছে, মাজিদ খানের যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এর আগেও পিসিবির শীর্ষ পদ সামলেছেন তিনি। সব জ্ঞান রয়েছে তার। তাই মাজিদের হয়ে প্রস্তাব করেছিলেন এহসান মানি; কিন্তু কোনো আত্মীয়কে ইমরান বিশেষ কোনও পদে বসাতে চান না। এ চিন্তা থেকেই তিনি এহসান মানির প্রস্তাব বাতিল করে দেন।
Advertisement
যদিও পিসিবি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই খবরের মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। এহসান মানি কখনোই মাজিদের ব্যাপারে ইমরান খানের কাছে প্রস্তাব পেশ করেননি।’
পিসিবির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এহসান মানি জানিয়ে দেন, পিসিবি চেয়ারম্যানই সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এমন নয়। চেয়ারম্যানশিপের সঙ্গে একজন প্রধান নির্বাহীর ক্ষমতাকে ভাগ করে নিতে চান তিনি। আগের চেয়ারম্যান নাজম শেঠি একাই চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহীর ক্ষমতা ভোগ করতেন। কিন্তু নতুন বোর্ডে তিনি চান, ক্ষমতা ভাগ করে নিতে।
তার সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই মাজিদ খানের নিয়োগের প্রস্তাব উঠে এসেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর আমলের পুরোটা সময়ে পিসিবির প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাজিদ খান। এমনকি নওয়াজ শরীফের আমলের একটা সময়ও এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ম্যাচ ফিক্সিংসহ যাবতীয় ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশ কঠোরহস্ত ছিলেন মাজিদ খান। তার আমলে এ বিষয়গুলোকে পাকিস্তান ক্রিকেটে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। নওয়াজ শরীফের আমলেই মাজিদ খানকে বিদায় করে তার জায়গায় বসানো হয় খালিদ মাহমুদকে।
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম