জাতীয়

জুনে শেষ হচ্ছে ‘জল-সবুজে ঢাকা’ প্রকল্প

মেগাসিটি ঢাকার জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ শহরে জনসংখ্যা যেমনি বাড়ছে তেমনি আকাশচুম্বি ভবনও বাড়ছে। সেই সঙ্গে কমছে সবুজায়ন। রাজধানী ঢাকায় রয়েছে বহুমাত্রিক নাগরিক দুর্ভোগ। একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে, অন্যদিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী। তবে ক্রমাগত সবুজ হারানো এ শহরবাসীর মনে আশা জাগিয়েছে ‘জল-সবুজ ঢাকা’ প্রকল্প।

Advertisement

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গ্রিন ও ক্লিন ঢাকার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের শেষদিকে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছিল। নগরবাসীর বিনোদনের জন্য রাজধানীর অনেকটা পরিত্যক্ত ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠ নিয়ে মোট ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্কগুলোকে জল-সবুজে ঢেকে নতুনরূপে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ছোট ও বড়দের আলাদা খেলার মাঠ। পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য সুদৃশ্য স্থান। জলাধারের পাশাপাশি সবুজ বাগান।

এ পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে সিসিটিভি, ফ্রি ওয়াইফাই ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থাও থাকবে। এসব মাঠ ও পার্কের কয়েকটি চলতি বছরের মধ্যে এবং অবশিষ্টগুলো আগামী বছরের জুন নাগাদ সমাপ্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরেও এ প্রকল্প নিয়ে কাজ চলবে। জলসবুজ ঢাকা প্রকল্প বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন, নগরীর পার্ক এবং খেলার মাঠগুলো বেদখল হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এ পার্ক ও খেলার মাঠ দখলমুক্ত করে আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের বিনোদনের জন্য ‘জল-সবুজে ঢাকা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করি।

Advertisement

এ প্রকল্পে ১৩টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের শতাধিক অভিজ্ঞ স্থাপতিবিদদের সম্পৃক্ত করে একটি গোস্যা নিবারণী পার্কসহ আন্তর্জাতিকমানের ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন শুরু করা হয়। এসব মাঠ ও পার্কের কয়েকটি চলতি বছরের মধ্যে এবং অবশিষ্টগুলো আগামী জুন নাগাদ সমাপ্ত হবে বলে আশা করছি।

এএস/এমআরএম/পিআর