রাজধানীর দক্ষিণখানে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে একে অপরকে ‘তুই’ সম্বোধন করায় কিশোর মেহেদী হাসানকে হত্যা করা হয়।
Advertisement
হত্যায় জড়িত প্রধান আসামিসহ আটজনকে গ্রেফতারের পর রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে একে অপরকে ‘তুই’ সম্বোধন করায় মেহেদীকে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. সাইফ, মনির, আরাফাত, সাইফুল, মেহেরাব, আপেল, সিফাত ও সোহেল। এদের মধ্যে প্রধান আসামি সাইফ। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
মাসুদুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে শান্ত ও আরাফাত গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদীকে হত্যা করা হয়। দক্ষিণখানের চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকায় উঠতি বয়সী ছেলেদের বিভিন্ন গ্রুপ (জিম-জিয়াদ গ্রুপ, শান্ত গ্রুপ, আরাফাত গ্রুপ, কামাল গ্রুপ ও আনছার গ্রুপ) সক্রিয় রয়েছে। এ গ্রুপগুলো উক্ত এলাকায় চাঁদাবাজি, ইভ টিজিং, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে জড়িত।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডিসি বলেন, ঈদুল ফিতরের ১০-১৫ দিন আগে আরাফাত গ্রুপের সদস্য কাউসার হুন্ডা মেহেদীকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করে। সেই ঘটনার রেশ ধরে শান্ত গ্রুপের হুন্ডা মেহেদী ও ভিকিটিম মেহেদী আরাফাত গ্রুপের কাউসার ওরফে কডাকে মারধর করে। ১৮ আগস্ট ভিক্টিম মেহেদীসহ শান্ত গ্রুপের সদস্যরা আরাফাত গ্রুপের সাইফকে মারধর করে। ৩১ আগস্ট শান্ত গ্রুপের ভিকটিম মেহেদী এবং নাজমুল ফজল হাজীর ছেলে আরাফাত গ্রুপের তৌকিরের বাম হাতের কব্জিতে ও বুকের বাম পাশে সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনার পর থেকে আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা মেহেদী ও নাজমুলকে মারার জন্য খুঁজতে থাকে। বিকেলে কেসি কনভেনশন হলে একটি জনসভায় শান্ত গ্রুপের লোকজন মিছিল নিয়ে আসার সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা মিছিলের উপর হামলা করে।
সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, সেখানে আরাফাত গ্রুপের সানি ও সোহেল মেহেদীকে জড়িয়ে ধরে এবং সাইফ চাকু দিয়ে মেহেদীর বাম কানের নিচে ছুরিকাঘাত এবং অন্যান্যরা লাঠি দিয়ে মারধর করে। আহত অবস্থায় মেহেদীকে প্রথমে কেসি হাসপাতালে পরবর্তীতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ডিবি উত্তরের একটি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
Advertisement
এআর/এএইচ/আরআইপি