বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধান মারকাজ কাকরাইল মসজিদ। দিল্লির নেজামুদ্দিন মরকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলবির অনুসারিরা দখলে নিতে কাকরাইল মসজিদের সামনে জড়ো হচ্ছে। গতকাল রাত ৯টার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা কাকরাইল মারকাজে প্রবেশ করতে গেলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
Advertisement
রাতেই তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাতে কয়েকজন আহত হয় বলেও জানা যায়। তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কাকরাইল মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মুনীর বিন ইউসুফ ও মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ এবার হজ পালনে সৌদি গিয়েছিলেন। হজ থেকে ফেরার পর গতকাল তারা মারকাজে গেলে বাধার সম্মুখিন হন।
আগে থেকে কাকরাইলে অবস্থানকারীরা জানান, হজ থেকে ফিরে এসে মূলত ওই দুই জিম্মাদার কাকরাইল দখলের চেষ্টা করেন। তারা হজের সফরে এ পরিকল্পনা করেন।
Advertisement
এ বছর নেজামুদ্দিনের অনেক অনুসারি হজে যান। নেজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভি এবং কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামও এবার হজ সফরে গিয়েছিলেন।
গতকাল মাওলানা মুনীর বিন ইউসুফ ও মুহাম্মদুল্লাহ হজ থেকে ফিরে কাকরাইল মারকাজে ঢুকেন এশারের পর। এ সময় নেজামুদ্দিনের অনুসারি হিসেবে চিহ্নিত অনেক সাথী কাকরাইল মারকাজে প্রবেশের জন্য গেটে অবস্থান নেয় এবং নানান স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন > যেভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলো
মাওলানা মুনীর বিন ইউসুফ ও মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ মাস্তুরাত জামাতের জিম্মাদার। হজ থেকে ফেরা এ দুই সাথী কাকরাইলে ঢুকতে চাইলে প্রথমে তাদের বাধা দেয়া হয়। এরপরই সৃষ্টি হয় এ ঝামেলার।
Advertisement
উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাপী তাবলিগ জামাত শুরা পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। যে কোনো সিদ্ধান্ত তাবলিগের শুরা সদস্যদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই পরিচালিত হয়। কিন্তু দিল্লির নেজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভি নিজেকে তাবলিগ জামাতের আমির দাবি করে চলমান এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত করেন।
এ দাবি ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে তিনি বেশ কিছু বিতর্কিত বক্তব্য দিতে থাকেন। যার ফলে দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্বব্যাপী আলেম-ওলামাগণ তাকে ইসলাহ হওয়ার অনুরোধ করে তার বক্তব্য রুজু করার আহ্বান জানান। তিনি সে সব বক্তব্য থেকে রুজু করেননি।
মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারির বলেছেন, মাওলানা রুজু করেছেন কিন্তু বিশ্বব্যাপী আলেমগণ তা মানছেন না।
দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্বব্যাপী আলেমগণ বলছেন, তিনি রুজুর ঘোষণা দেয়ার পরও আগের সে সব বিতর্কিত বক্তব্য অব্যাহতভাবে দিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই থেকেই বর্তমানে তাবলিগ জামাতের এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। যা সরকারি হস্তেক্ষেপেও সমাধান হয়নি।
এমএমএস/জেআইএম