ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশে একটি বাঘকে ঘিরে শুরু হয়েছে হুলস্থুল কাণ্ড। গত দুই বছরে ভারতের মধ্যাঞ্চলের এই প্রদেশে অন্তত ১৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বাঘটি। প্রদেশের পান্ধারকাওয়াদার পাহাড়ি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
Advertisement
বাঘটিকে ধরার চেষ্টা করা হলেও শিকারের পর কৌশলে পালিয়ে যায়। গত আগস্টেই শুধুমাত্র এই একটি বাঘের হামলায় অন্তত তিনজনের প্রাণহানির পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা দেখা মাত্রই গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এক বন্যপ্রাণী বিষয়ক কর্মী এ আদেশের প্রেক্ষিতে রিট করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টে।
প্রথম এ ঘটনার শিকার হন একজন বৃদ্ধ নারী। মুখ থেতলানো অবস্থায় পিঠে অনেক আঘাতের চিহ্নসহ তাকে একটি তুলা ক্ষেতে পাওয়া যায়। এরপর এ ঘটনার শিকার হন একজন কৃষক; বামহাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায় বাঘটি।
গত আগস্টের মাঝামাঝি ভাগুজি কানাধারী নামের একজন মামুলী গবাদি পশুর রাখালের থেতলানো শরীর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ছিলেন বাঘটির ১২তম শিকার।
Advertisement
ডিএনএ টেস্ট, ক্যামেরা ফাঁদ, বিভিন্ন চিহ্ন এবং পায়ের ছাপের মাধ্যমে দেখা যায়, একটি বাঘই ১৩ জনকে হত্যা করেছে। ৫ বছর বয়সী ওই বাঘ মানুষকে আক্রমণ করে তার মাংস খেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতগুলো মানুষকে একটি বাঘের আক্রমণ চালানো অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। বন্য-প্রাণী সংরক্ষণ নীতির একটি সাফল্য হিসেবে ভারতে বিপন্ন বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু প্রাণীগুলো দিন দিন মানবসতিতে আসার ফলে তা মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
আগস্টে বাঘের আক্রমণে তিনজন মানুষের নিহতের পর রাজনৈতিক নেতারা দেখামাত্র বাঘটিকে গুলি করার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা এক ব্যক্তি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে কেনো এ আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রিট করেছেন। শিগগিরই এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেবেন আদালত।
এসআইএস/পিআর
Advertisement