দেশজুড়ে

দৌড়ে আসল এতিম শিশুটি, বুকে জড়িয়ে নিলেন এমপি দুর্জয়

দুই বছর আগে মা রংবালা বেগম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বাবা আবুল হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে হয়েছেন ঘরজামাই। সেই থেকে নানি কদবানুর কাছে থাকছে শিশু সুমাইয়া আক্তার (৭)।

Advertisement

বর্তমানে নানা অসুস্থ। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে দু’বেলা খাবার যোগান নানি। স্থানীয় চরমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়ার ইচ্ছা লেখাপড়া করার। কিন্তু দরিদ্র নানার সংসারে যেখানে ঠিকমতো খাবারই জুটে না, সেখানে লেখাপড়া চলবে কীভাবে?

অবশেষে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া গ্রামের এই এতিম শিশুর আজীবন লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

শনিবার বিকেলে ওই এলাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে শিশু সুমাইয়াকে সঙ্গে নিয়ে তার নানি এমপি দুর্জয়ের কাছে ছুটে যান। তাদের বিস্তারিত ঘটনা শুনে মায়া হয় এমপির। শিশু সুমাইয়াকে বুকে জড়িয়ে নেন এমপি। তাৎক্ষণিক কিছু নগদ অর্থ হাতে তুলে দিয়ে এমপি দুর্জয় ঘোষণা দেন, শিশু সুমাইয়ার আজীবন লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলাম আমি। এখন থেকে প্রতি মাসে তার লেখাপড়ার খরচ দেব আমি।

Advertisement

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল হোসেন বলেন, সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের এই ঘোষণার পর এতিম শিশু ও তার নানি এবং এলাকাবাসী খুবই খুশি হয়েছেন। মানবিক এই উদ্যোগ নেয়ায় সবাই দুর্জয়ের প্রশংসা করেছেন।

মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বিসিবি পরিচালক এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় মাস দেড়েক আগে একই এলাকার এক স্কুলছাত্রের চোখ অপারেশন করিয়েছেন নিজ খরচে। পাশাপাশি শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রীর লেখাপড়ার খরচ চালান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ক্রিকেট তারকা এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হতে হয়। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা আছে যা আমাকে খুবই পীড়া দেয়। তাই সবসময় চেষ্টা করি সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। একজন মানুষ হিসেবে এসব এতিম ছেলে-মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।

বি.এম খোরশেদ/এএম/জেআইএম

Advertisement