আল্লাহ তাআলা পূববর্তী যুগের অনেক নবি-রাসুলদের দোয়া ও আহ্বানকে কুরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন। যাতে মুসলিম উম্মাহ সে সব আহ্বান বা দোয়ার মাধ্যমে নিজেদের জন্য দোয়া করতে পারে।
Advertisement
হজরত ইবরাহিম আলঅইহিস সালাম নিজের সন্তান-সন্তুতি ও বংশধরদের জন্য দোয়া করার পর আল্লাহর উদ্দেশ্যে বলেন, হে আল্লাহ! আমরা যা গোপন করি আর যা প্রকাশ করি নিশ্চয়ই আপনি তা জানেন। হে আল্লাহ! আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই আপনার কাছে গোপন থাকে না।
তাই তিনি নিজের ও বংশধরদের জন্য এবং নিজের পিতা-মাতার জন্য দোয়া করেছিলেন। সে দোয়া আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় হওয়ায় তিনি তা মুসলিম উম্মাহর জন্য কুরআনে পেশ করেছেন। যাতে মানুষ নিজেদের জন্য এ দোয়ার মাধ্যমে তার কাছে আশ্রয় ও সাহায্য প্রার্থনা করতে পারে।
দোয়াটি হলো- رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ - رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُউচ্চারণ : রাব্বিঝ্আ’লনি মুক্বিমাস সালাতি ওয়া মিং জুর্রিয়্যাতি; রাব্বানা ওয়া তাক্বাব্বাল দুআ’য়ি; রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
Advertisement
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানাও এবং আমার বংশধরদের থেকেও (নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী) বানাও; হে আমাদের প্রতিপালক! আমার দোয়া কবুল কর। হে আমার প্রতিপালক! যে দিন হিসাব হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীদেরকে ক্ষমা কর।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪০-৪১)
আরও পড়ুন > পুত্রসন্তান লাভে হজরত ইবরাহিমের দোয়া
মুসলিম উম্মাহর উচিত, নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরবর্তী বংশধরদেরকে নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে তৈরি করতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা। আর এ দোয়াসহ অন্যান্য সব আবেদন-নিবেদন কবুল করার আবেদনও করা।
বিশেষ করে শেষ বিচারের দিনের কল্যাণে পিতামাতা, সন্তান-সন্তুতিসহ নিজেদের মুক্তির লক্ষ্যে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের জাতির পিতার শেখানো কুরআনে উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নিজেদের প্রয়োজন পূরণে ধরণা দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম