অর্থনীতি

বাড়লো লেনদেন, কমলো সূচক

গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে (৩-৬ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান ও বাছাই করা মূল্য সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

Advertisement

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১৩১ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৩ শতাংশ।

অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ২ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ।

Advertisement

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১০৮টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দাম।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৬৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৯১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১৩৪ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গত সপ্তাহের রোববার লেনদেন হয়নি।

Advertisement

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ২৭ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিএস কেবলসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। ৮৯ কোটি ২৬ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- আমান ফিড, দি পেনিনসুলা চিটাগাং, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, নাহি অ্যালুমেনিয়াম, ইউনিক হোটেল এবং সামিট পাওয়ার।

এমএএস/জেএইচ/পিআর