আরজিনা নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
Advertisement
শুক্রবার সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট পাথরখুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের শুকুর আলী মেয়ে আরজিনারর সঙ্গে ১৪ বছর আগে ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে মনির হোসেন (১২) ও জাহিমা বেগম (৬) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরজিনাকে মারধর করে। সারারাত নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যু হলে সকালে মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে এনে ভর্তির চেষ্টা করে। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখতে পান আগেই আরজিনার মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
এদিকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলে মরদেহ হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
নিহতের মা সালেহা বেগম (৬৫) অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত শনিবার জেলার মর্গে সম্পন্ন করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
জাহেদুল ইসলাম/এফএ/এমএস
Advertisement