বগুড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নানা অজুহাতে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার শহরের নবাববাড়ি সড়কে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ করে জেলা বিএনপি।
Advertisement
এতে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ তুলে বলেন, ডিবি পুলিশের পরিচয়ে বুধবার রাতে সোনাতলা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ লিটনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে দুঁপচাচিয়া উপজেলা থেকে পুলিশ তিন নেতা কর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। সেখানে পুলিশের তল্লাশি অভিযানের মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন বাড়ি ছাড়া। এছাড়া প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক দলীয় নেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হলেও তার সঙ্গে অজ্ঞাত কথা জুড়ে দিয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি তৈরি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে গ্রেফতারের তালিকায় দলের নেতা-কর্মীদের নাম শুধু বাড়ছেই।
তার আরও অভিযোগ, জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে এসব পুলিশি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঠ ছাড়া করতে চাচ্ছে। এই সুযোগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত একটি ভোট করতে চায়। তিনি পুলিশকে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সরকার দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চাঁন, শোকরানা, আলী আজগর তালুকদার হেনা, রেজাউল করিম বাদশা, লাভলি রহমান, ফজলুল বারি তালুকদার বেলাল, রাফিপান্না, হাফিজুর রহমান, মাহবুবর রহমান বকুল, খায়রুল বাশার, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, এমআর ইসলাম স্বাধীন, নাজমুল হুদা পপন, পরিমল চন্দ্র দাস, শহিদুন্নবী ছালাম, ডা. শাহ মো. শাহজাহান আলী, শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
লিমন বাসার/আরএ/পিআর