দেশজুড়ে

৩০ সেকেন্ডে ১২ হাজার কেমিকেলের তথ্য জানাবে ‘স্পেকটোমিটার’

বাংলাদেশ কাস্টমসে যোগ হয়েছে বিশেষ যন্ত্র ‘রামান স্পেকটোমিটার’। হাতে ধরা এই ডিভাইসটি লেজার রশ্মি ব্যবহার করে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে প্রায় ১২ হাজার রাসায়নিক পদার্থের উপাদানের শতকরা হার ও জেনেরিক (জাতিবাচক) নাম বলে দিতে সক্ষম। প্রথমে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, বেনাপোল ও ঢাকা কাস্টম হাউসে এগুলো ব্যবহার করা হবে। বাকি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পর্যায়ক্রমে এটি বসানো হবে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিকেল আমদানির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে নতুন এ যন্ত্র সংযোজনের ঘটনা ঘটল।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ ধরনের যন্ত্র সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কাস্টমস আধুনিকতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এতে উপকৃত হবেন সৎ ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩টি ডিভাইস হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের কমিশনার ড. মইনুল খান।

Advertisement

ড. মইনুল খান জানান, রামান স্পেকটোমিটার ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশেনের সিকিউরিটি প্রজেক্ট বাংলাদেশ সরকারকে অনুদান হিসেবে দিয়েছে। এতে প্রায় ১২ হাজার কেমিকেলের নমুনা তাৎক্ষণিক (মাত্র ৩০ সেকেন্ড) এবং নিখুঁতভাবে রিপোর্ট প্রদান করতে সক্ষম। ফলে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিকেল আমদানির প্রবণতা হ্রাস পাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেমিকেলের নামে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আনীত ভোজ্যতেলের ১০৫টি ড্রামের ভেতর কোকেন আমদানির মতো বড় চালান শনাক্তে আরও সহায়ক হবে। অন্যদিকে, স্বল্প সময়ে সঠিক রিপোর্ট পাওয়ায় সৎ ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের এই কর্মকর্তার মতে, বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রিপোর্ট পেতে সময়ক্ষেপণসহ নানা হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সঠিকভাবে রিপোর্ট না পেলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি থেকে যায়। তাই রামান স্পেকটোমিটার যুক্ত হওয়ায় আধুনিক কাস্টমস গড়ার পথে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হলো।

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি বন্ধের মাধ্যমে চোরাকারবারি নিয়ন্ত্রিত হবে। এছাড়া রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।’

Advertisement

এসআর/জেআইএম