আন্তর্জাতিক

ইমরানের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জঙ্গি দমন নিয়ে চিড় ধরেছে দু’দেশের সম্পর্কে। পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্যের একাংশও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খান সরকারের সঙ্গে ‘নতুন’ সম্পর্ক শুরু করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সফরের সময়ে সেই কাজই শুরু করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

Advertisement

বিমানে করে আসার সময়ই পম্পেও সাংবাদিকদের জানান, পাক-মার্কিন সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবনতির বেশিরভাগই হয়েছে ইমরান ক্ষমতায় আসার আগে। ফলে এই সরকারের সঙ্গে নতুন ভাবে শুরু করতে চায় আমেরিকা। ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও সেনাপ্রধান কামার বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

মার্কিন সাহায্য বন্ধ রাখা ও আফগানিস্তানে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে পাক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পম্পেও। আলোচনার পরে ইমরান বলেন, আমি সব সময়ই আশাবাদী। খেলোয়াড়কে সব সময়েই আশাবাদী হতে হয়। কারণ, মাঠে নেমে জেতার কথাই ভাবতে হয়। তবে জঙ্গি দমন নিয়ে কড়া অবস্থান থেকে যে আমেরিকা সরে আসেনি তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন পম্পেও।

তার কথায়, জঙ্গি দমনে যেমন পদক্ষেপ দেখব বলে আমরা আশা করেছিলাম তা দেখতে পাইনি। তার ফলেই পাকিস্তান ওই আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে না। অবস্থার পরিবর্তন হলে আমাদের সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।

Advertisement

পাকিস্তানের পরে ভারতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা পম্পেও এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের। রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ব্যবস্থা কেনায় ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পাবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ইরান থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রেও দিল্লি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে পারে। বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে পম্পেও বলেন, এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলি আমরা এই আলোচনায় মেটাতে পারব বলে মনে হয় না। ভারত আমাদের একমাত্র বড় প্রতিরক্ষা সহযোগী। দীর্ঘদিন ধরে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েই মূল আলোচনা হবে।

প্রতিরক্ষা ও বিদেশনীতি নিয়ে এই আলোচনা দু’বার পিছিয়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় আরও বেশি শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে চীন। ভারত-মার্কিন কৌশলগত আলোচনায় এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

টিটিএন/আরআইপি

Advertisement