খালেদা জিয়াকে বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যে মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়েছিল, সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। অর্থাৎ, বেগম জিয়াকে এখন বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে কারাগারে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার বিরোধীদল দমনে নতুন করে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে বলে অভিযোগ করে তিনি। বলেন, ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ততথ্য মতে সারাদেশে বিএনপির ১৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং ১২ শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ১১ হাজার নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
রিজভী বলেন, একতরফা ভোটারশূন্য নির্বাচন করার জন্য শেখ হাসিনা সারাদেশে বিরোধীদল শূন্য করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যার ফলে ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি ছাড়া, পরিবার ছাড়া পলাতক জীবন বেছে নিতে হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, সরকার আইনকানুনের কোনো ধার ধারছে না। আদালতকে বন্দি করা হয়েছে কারাগারে। যেমন দেশের বিপুল জনসমর্থিত নেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখে গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রাখা। সরকারের উদ্দেশ দু’টি, একের পর এক মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে সাজার স্তুপবৃদ্ধি করা, আরেকটি দিনের পর দিন আটকে রেখে শারীরিক অসুস্থতার আরও অবনতি ঘটিয়ে বেগম জিয়াকে বিপর্যস্ত করা।
সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, দেশনেত্রী অসুস্থ থাকলেও জোর করে হলেও আদালতে নিয়ে আসতে হবে -এ ধরনের আক্রশের মনোবৃত্তি ফুটে ওঠে আইনি কার্যক্রমে। গতকালও বেগম জিয়াকে জোর করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অত্যাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নিষ্ঠুর বল প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের প্রতিবাদ দমন করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করছে। রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও গণতান্ত্রিক রীতি নীতিকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের মৃতদেহের ওপর এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চান না। কারণ এ ধরনের নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার লজ্জাজনক পরাজয় হবে। তাই সরকারের বাহিনীগুলো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তাই দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, দপনপীড়নের এতো তীব্র মাত্রার পরও জাতীয়তাবাদী শক্তির ক্ষয় হয়নি। জনগণের নিরব ক্ষোভ প্রতিদিন বেড়েই চলছে। সরকার বিরোধী দলের ওপর যত জুলুম করছে ততই সরকারের পতন ঘনিয়ে আসছে।
Advertisement
কেএইচ/আরএস