অবশেষে সমকামিতার বৈধতা দিয়েছে ভারত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। বহুল প্রতীক্ষিত এ রায়ের ফলে ভারতে সমকামিতা বৈধতার দাবিতে দীর্ঘ ১৫৭ বছরের আন্দোলনের অবসান হলো।
Advertisement
এর আগে ভারতে সমকামিতাকে অপরাধ বলেই গণ্য করা হতো। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী যদি একই লিঙ্গের মানুষ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের যাবজ্জীবন বা দশ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে জরিমানাও হতে পারে।
তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ৩৭৭ ধারায় সমকামিতার অধিকার খর্ব করা অযৌক্তিক এবং অপ্রাসঙ্গিক।
সুপ্রিম কোর্টে ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকার একটি মৌলিক অধিকারের অঙ্গ বলে স্বীকৃত হওয়ার পরেই সমকামিতা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মনে আশার আলো জেগেছিল।
Advertisement
১৮৬০ সালে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয় এই আইন। ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দেন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারা সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করছে।
তবে কিছু ধর্মীয় সংগঠন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতার অধিকার নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয়। আবার সমকামিতাকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করে। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, এই আইন বাতিল করা সংসদের কাজ।
যদিও ৩৭৭ ধারায় খুব কম লোকই শাস্তি পেয়েছেন, তবু শীর্ষ আদালতের এই রায় সমকামিতার অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে একটি ধাক্কা ছিল। কারণ এই আইনের অজুহাত দিয়ে সমকামী ও এলজিবিটিদের (সমকামী ও হিজরাদের সংগঠন) হেনস্তা করে বলেই দীর্ঘদিনের অভিযোগ। এরপরই শীর্ষ আদালতে নাজ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও-সহ আরও কয়েকজন ২০১৩ সালের রায়কে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি
Advertisement
এসআর/আরআইপি