আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রিত করতে ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীনদের প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক 'সুজন' সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
Advertisement
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সুজন আয়োজিত 'রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন মানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা। ইতোমধ্যে এ প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। আজ একটি জাতীয় দৈনিকে দেখলাম কারণ ছাড়াই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মানে সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চায়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজন সম্পাদক বলেন, 'বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। পাঁচটি সিটি নির্বাচন তারা সুষ্ঠু করতে পারেনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন নির্বাচনে যে অনিয়ম হবে না তা বলা যায় না। উনার বক্তব্যের মাধ্যমেই বোঝা যায় অনিয়ম হবে এমন একটি স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টি হয়েছে। এ নীতি অব্যাহত থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচনও নিয়ন্ত্রিত হবে।'
Advertisement
বদিউল আলম বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার সিল মারার ক্লাসিক গেম খেলেছে। এসব করেও কোথাও কোথাও তারা পরাজিত হয়েছে৷ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে তিনি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের জলজ্যান্ত উদাহরণ বলেও আখ্যা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশনকে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারক করার পরামর্শ দেন। যেখানে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন সময়ে এবং পরে কেমন পরিবেশ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, কার কী ভূমিকা থাকবে এবং সনদের শর্ত ভাঙলে কী হবে তা উল্লেখ থাকবে।
এসআই/এমএমজেড/এমএস
Advertisement