জাতীয়

কারাগারের চারপাশের সড়ক বন্ধ, তল্লাশি

পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা নিয়েছে পুলিশ ও কারারক্ষীরা। বন্ধ রাখা হয়েছে কারাগার সংলগ্ন চারটি সড়ক। বুধবার ভোর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের মূল ফটকের বাইরেও একই চিত্র দেখা যায়।

Advertisement

সাজাপ্রাপ্ত কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে কারাগারের চারপাশে চকবাজার, বেগমবাজার, সাতরাওজা এবং চাঁনখারপুলে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে পুলিশ। যারা পায়ে হেঁটে ভেতরে যাচ্ছেন তাদের প্রত্যেকের দেহ এবং ব্যাগ তল্লাশি করা হয়।

এছাড়া কারাগারের মূল ফটকের বাইরে স্বশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন কারারক্ষীরা। সব সড়কের পাশেই প্রস্তুত রাখা আছে কাঁটাতারের ব্যারিকেড। স্ট্যান্ডবাই রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিভর্তি গাড়ি।

গতকাল মঙ্গলবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর আগে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

Advertisement

গেজেটে বলা হয়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ-সংক্রান্ত কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। এসব মামলার বিচার কার্যক্রম চলাকালীন এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের কক্ষটিকে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পর থেকে তিনি অন্য কোনো মামলায় আর হাজিরা দেননি। এ পরিস্থিতিতে আদালতকেই কারাগারে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যে আদালত দণ্ড দিয়েছেন সেখানে আরও একটি মামলা শেষ পর্যায়ে আছে। এছাড়া বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও চারটি মামলা চলছে এবং তার অনুপস্থিতির জন্য সবগুলো মামলারই কার্যক্রম আটকে রয়েছে।

এআর/আরএস/পিআর

Advertisement