২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পরই বন্ধই হয়ে গিয়েছিলো দেশটির পর্যটন শিল্প। ফলে অন্য অনেকের মতোই ব্যবসা গুটিয়ে নেন সোমার হাজিম। তিনি তখন বন্ধ করে দিয়েছিলেন তার বুটিক হোটেল।
Advertisement
এরপর লাখ লাখ মানুষ যখন দেশ ছেড়ে বাঁচলো তখনো সব হারানো সোমার থাকলেন দেশেই। সাত বছরের মাথায় এসে পরিস্থিতি পাল্টেছে। রাজধানী দামেস্ক এখন পুরোপুরি সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
শহরের পুরনো অংশে সোমার হাজিম একটি পানশালা শুরু করেছেন। এটিই যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় শুরু হওয়া প্রথম পানশালা। যদিও বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দামেস্ক বসবাসের জন্য সবচেয়ে নিকৃষ্ট শহর তারপরেও সোমার বলছেন এখানেও এখন নৈশ জীবন দারুণ আকর্ষণীয়।
সোমার স্বীকার করেন যে, ২০১৫ সালে তিনি যখন ঝুঁকি নিয়ে পানশালার যাত্রা শুরু করেন সেটি ছিল ব্যবসা শুরুর জন্য সত্যিই কঠিন সময়। অনেকেই আসতো জায়গাটি দেখতে যে কে এই যুদ্ধের মধ্যে এটি বানাল।
Advertisement
এবারের গ্রীষ্মে রাশিয়ানদের সহযোগিতায় সিরিয়া সরকার বিদ্রোহীদের পরাজিত করে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আর এই স্থিতাবস্থাই দামেস্ককে ধীরে ধীরে জাগিয়ে তুলছে বিশেষ করে নৈশজীবন ক্রমশই প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।
শুরুর দিকে এ ধরণের পানশালা ৩/৪ টি ছিল। আর এখন অন্তত ত্রিশটি খুঁজে পাওয়া যাবে। রাজধানীর জীবনে স্বাভাবিকতাও ফিরে আসতে শুরু করেছে যদিও সিরিয়া যুদ্ধ এখনো একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি।
জাতিসংঘের ধারণা এখনো বিশ থেকে ত্রিশ হাজার কথিত আইএস জঙ্গি আছে সিরিয়া ও ইরাকে।
কিন্তু তারপরেও আশাবাদী সোমার হাজিম। তার মতে, এটি যদিও সেই আগের দামেস্ক নয় কিন্তু আমি মনে করি এটি আরেকটি শহর হতে চলেছে। তার আশা একদিন তার বুটিক হোটেলটিও আবার চালু হবে, জমজমাট হবে দেশটির পর্যটন।
Advertisement
তার মতে হয়তো সবকিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে কিন্তু তারপরেও সেরা সময় সামনেই বলে তার বিশ্বাস।
টিটিএন/পিআর