জাতীয়

রাজধানীর কোথাও যানজট, কোথাও ফাঁকা

ঈদের ছুটি শেষে গত সপ্তাহেই ঢাকা ফিরেছে অধিকাংশ মানুষ। তবে অনেক স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় স্বরূপে ফিরতে কিছুটা সময় লেগেছে ঢাকার। রোববার জন্মাষ্টমীর ছুটির পর সোমবার থেকে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করে ঢাকা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের কবলে পড়েন রাজধানীবাসী।

Advertisement

এদিন সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট থাকলে ফাঁকা ছিল কিছু কিছু সড়ক। স্কুল-কলেজ খোলার প্রভাবে সকাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি, ফার্মগেট, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, মিরপুর এলাকায় তীব্র যানজট ছিল।

নাইমুল ইসলাম নামে গুলিস্তান-উত্তরা রুটের এক বাসযাত্রী বলেন, সকালে গুলিস্থান থেকে এয়ারপোর্ট যেতে শাহবাগ, বাংলামটর, বিজয় স্মরণী, মহাখালী এবং বনানীর কাকলী মোড়ে তীব্র যানজট পেয়েছি। বনানীর পর থেকে সড়ক মোটামুটি ফাঁকা ছিল।

ধানমন্ডি থেকে এয়ারপোর্টগামী যাত্রী সৈয়দ তানভীর মোস্তফা জানান, সাধারণত দুই ঘণ্টায় এই রুটে যাতায়াত করলেও আজ ৩ ঘণ্টা লাগলো। পান্থপথ, কারওয়ান বাজারর বিজয়স্মরণি থেকে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত প্রচণ্ড যানজট পেয়েছি।

Advertisement

সকালে মৌচাক থেকে কুড়িল বিশ্ব রোড যাওয়ার পথে মালিবাগ মোড় থেকে আবুল হোটেল, রামপুরা বাজার, নর্দ্দা এলাকায় বেশ যানজট ছিল।

সেলিম নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী জানান, আজ সকালে শেওড়াপাড়া থেকে মধ্যবাড্ডায় অফিসে পৌঁছাতে তার সোয়া দুই ঘণ্টারও বেশি লেগেছে। অথচ প্রতিদিন সকালে একই পথে আসতে তার মাত্র ৩০/৩৫ মিনিট সময় লাগে।

মিরপুরের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার ওই এলাকায় তীব্র যানজট না থাকলেও মেট্রোরেলের কাজ চলার কারণে প্রতিদিনের মতো আজও মিরপুর ১১ নম্বর থেকে আগারগাঁও সড়কে ধীরগতিতে যানচলাচল করে।

এছাড়াও মোহাম্মদপুর, সাইন্সল্যাব, নিউ মার্কেট থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত সড়কেও ছিল তীব্র যানজট।

Advertisement

তবে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বাড্ডা এবং উত্তরা সড়ক প্রায় ফাঁকা ছিল।

আজ (মঙ্গলবার) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়কে যানজটের অন্যতম কারণ অব্যবস্থাপনা ও সড়কের দুরাবস্থা। এই পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি। ঢাকায় রাস্তার ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি গাড়ি চলছে, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং হচ্ছে। এছাড়াও ইউটিলিটি ও এমআরটির মতো উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কে খোঁড়াখুঁড়িও রাজধানীর যানজটের অন্যতম কারণ।

এআর/এমএমজেড/এমএস