আইন-আদালত

হাইকোর্টের বিব্রতবোধে ‘হতবাক’ শাহদীন মালিক

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন শুনানিতে হাইকোর্ট বিব্রতবোধ করায় ‘হতবাক’ হয়েছেন তার আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমরা এ মামলা নিয়ে হতবাক হলাম। এই মামলা নিয়ে বেশ কিছুদিন কথা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল সময়ও চেয়েছেন। বিব্রত হলে প্রথম দিনেই মামলাটির শুনানি নিয়ে বিব্রত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চারদিন পরে বিব্রত হওয়াতে আমরা হতবাক হয়েছি।’

মঙ্গলবার শহিদুল আলমের জামিন শুনানির বিষয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিব্রতের ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিব্রতবোধ করার কারণ আদালতের কাছে বারবার জানতে চেয়েছেন সারা হোসেন। কিন্তু উনারা (বিচারপতিগণ) বলেছেন- এটা জানানোর বিষয় না।

Advertisement

পরে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের শুনানি করতে গেলে এক পর্যায়ে আদালত আমাদেরকে বাস্তবতা বুঝতে হবে বলে জানিয়েছেন।

আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘আমরা আজ আদালতে কাছে বলি- আমাদের যে জামিন আবেদনটি আছে সেটি শুনানি করা হোক। সিদ্ধান্ত কী হবে সেটা আদালতের ব্যাপার। আমরা শুনানির সুযোগটি চাই। এটা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার।

তিনি বলেন, আমরা কারণ জানতে চেয়েছি কেন আমাদের আবেদন শোনা হবে না। পাঁচদিন ধরে আমাদের আবেদনটি কার্যতালিকায় রয়েছে। প্রত্যেক দিন কোনো না কোনো কারণে এটি শুনানি করা যায়নি। গতকালও অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষেই সময় নেয়া হয়েছে। তারপরেই আজকে এসে আদালত কী কারণে বিব্রতবোধ করেছেন তা আমরা বুঝতে পারিনি।

শুনানির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সারা হোসেন বলেন, শুনানি করতে গেলে একপর্যায়ে বলা হলো- আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। আমরা তখন আদালতে বলেছি- বাস্তবতা কি এটাই যে, একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো যাবে? সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা তার মুখ থেকে বলা হয়েছে- এটা বলানো হবে? তারপর তাকে আটকে রাখা হবে? তারপর তাকে জামিন চাইতেই দেয়া হবে না? এটাই কি আমাদের বাস্তবতা?

Advertisement

সারা হোসেন আরও বলেন, আমি জানি সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা পেতে এই আদালতেই আসতে হবে। এখানে এসে যদি নাগরিক হিসেবে ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে কোথায় যাব সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।

এফএইচ/এমবিআর/জেআইএম