কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ২০১০ সাল থেকে। তার সময়ে তিনটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে। তিনটিতেই বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আরেকটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাফের সভাপতি হিসেবে ঘরের মাঠে এটি প্রথম টুর্নামেন্ট।
Advertisement
সাফের সভাপতি হিসেবে নিজ দেশের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দিতে পারেননি- এটা কাজী সালাউদ্দিনের বড় দুঃখ। বিভিন্ন সময়ে তিনি এ দুঃখ প্রকাশও করেছেন। তাই এবার আয়োজক হয়ে তিনি সাফের শ্রেষ্ঠত্ব ফেরাতে ফুটবলারদের প্রস্তুত করতে সাধ্যমতো সব করেছেন। দুই দুইবার কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় দলকে অনুশীলন করিয়েছেন। দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলিয়ে এ দলটিকে সাফের জন্য তৈরি করেছে বাফুফে।
এখন ফুটবলারদের নিজেদের প্রমাণের পালা। সোমবার সাফ সুজুকি কাপের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমি সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করেছি ফুটবলারদের। প্রস্তুতিতে কেনো ঘাটতি রাখিনি। ফেডারেশনের পক্ষে যা যা সম্ভব তা করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা যথেষ্ট। এখন দায়িত্ব খেলোয়াড়দের। আমিতো আর খেলে দিতে পারবো না।’
বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমার প্রত্যাশা বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হোক। আমি মনে করি বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া উচিত। কিন্তু মাঠে কী হবে তাতো বলা যায় না। সব কিছু এখন দলের খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করবে।’
Advertisement
ফুটবলারদের সাহস দিতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন বাফুফে সভাপতি ‘আমাদের উচিত জাতীয় দলকে উৎসাহিত করা। খেলোয়াড়দের সাহস দেয়া। ভালো-খারাপ যাই হোক, ওদের সাহস দিতে হবে। চেষ্টা সবাই করেন। আমরাও করেছি। আমি ভেতর-বাইরের সাপোর্ট চাই। সবাই ফুটবলারদের পাশে থাকুন।’
আরআই/এসএএস/এমএস