নেইল ম্যাকেঞ্জি, নামে ভারে অনেক বড় ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলে দীর্ঘদিন ব্যাটিং ভরসা ছিলেন তিনি। কালের পরিক্রমায় এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে সিরিজে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার পরই বেশ পরিবর্তন চোখে পড়েছে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। কিভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে সাকিব-তামিমদের সঙ্গে মিলে গেলেন সাবেক এই প্রোটিয়া ওপেনার? কারণটা বের করা কঠিন কিছু নয়। তার শেখানোর ধরণটা যে একটু অন্যরকম!
Advertisement
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলোয়াড়দের খুব বেশি দেখার সুযোগ হয়নি। এশিয়া কাপকে সামনে রেখে এখন ঘরের মাঠে টাইগারদের চলছে জোর প্রস্তুতি। মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ছিল মাশরাফিদের স্কিল ট্রেনিং। ম্যাচের সিনারিও তৈরি করে ব্যাটসম্যানদের প্র্যাকটিস করানো হয়েছে প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের তত্ত্বাবধানে।
তো, কেমন হলো আজকের প্রস্তুতি? টাইগার দলের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি এ নিয়ে বলেন, 'এটা শুধু প্রস্তুতি ছিল। ছেলেদের চাপে ফেলে প্রস্তুতি। অনেক সময় আপনি প্র্যাকটিস করলেন, কিন্তু মাঠে গিয়ে কিছুই করতে পারলেন না। আপনি বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন, এটাতে আসলে হয় না। তাই কোচ স্টিভ রোডস তাদের চাপে ফেলার চেষ্টা করেছেন। বিশ্বের বেশিরভাগ ওয়ানডে দলই কাছাকাছি মানের, তাই ম্যাচগুলো শেষ বল বা শেষ ওভারে গড়ায়। তরুণ ছেলেরা এই পরিস্থিতিতে কি করবে শিখছে, এটা তাদের বড় মঞ্চে সাহায্য করবে। এটা বোলারদের জন্যও ভালো প্রস্তুতি, ফিল্ড সেটিংটা দেখতে পারছে, বুঝতে পারছে কোনটা তার সেরা বল।'
ম্যাকেঞ্জির ব্যাটিং শেখানোর ধরণটা আসলে কেমন? খেলোয়াড়রা এসে জিজ্ঞেস করলে বলেন, নাকি নিজে থেকেই পরামর্শ দেন? এমন প্রশ্নে টাইগার কোচের উত্তর, 'আমি পরিস্থিতি বুঝে কাজ করি। আমি ছেলেদের ব্যক্তিত্বটা পড়তে চেষ্টা করি। যারা মিশুক, তারা এসে সমস্যা বলবে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে ছেলেরা কি চায়। কেউ কেউ আউট হবার পর কথা বলে, কেউ তখন একা থাকতে পছন্দ করে। আমাকে তাদের সঙ্গে সেই সম্পর্কটা রাখতে হবে। তাদের জানতে হবে। এই সম্পর্ক তৈরি এবং ভাষার প্রতিবন্ধকতা কাটাতে একটু সময় তো লাগেই।'
Advertisement
তবে কি খেলোয়াড়দের অনেকে নিজে থেকে কথা বলতে চায় না? ম্যাকেঞ্জি বরং জানালেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ভীষণ শিখতে আগ্রহী। তবে তিনি নিজে এমন কোচ নন যে, শিষ্যদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেবেন।
ম্যাকেঞ্জির ভাষায়, 'দলের উপকারের জন্য আমি সব করব। সবার আগে দল। যদি কারও সঙ্গে কথা বললে দলের উপকার হয়, আমি সেটাই করব। তবে শুধু বলার জন্য বলব না। কিছু কোচ আছেন, কত বেশি জানেন সেটা দেখাতে চান। আমি এমন নই। আমি কোনো সমস্যা তৈরি না করেই নিজের কাজটা করি, ছেলেদের টেকনিক্যাল সাইডগুলো জানতে চাই। বাংলাদেশের ছেলেরা শিখতে চায়, তারা সবসময় প্রশ্ন করে। এটা খুব ভালো। আমার কথা বলতে কোনো আপত্তি নেই।'
এমএমআর/এমএস
Advertisement