নাইকো দুর্নীতি মামলার ধার্য তারিখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থিত করতে হাজিরা পরোয়ানার (পিডব্লিউ- প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিচারক ১১ অক্টোবর মামলাটির চার্জগঠনের অবশিষ্ট শুনানির দিনও ধার্য করেছেন।
Advertisement
আজ (সোমবার) পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহামুদুল কবীর এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
দুর্নীতির মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে চার্জ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কুমিল্লার একটি মামলায় কারাগারে আছেন জানিয়ে তার উপস্থিতির জন্য সময় আবেদন করা হয়।
দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মামলার আগামী ধার্য তারিখ থেকে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ দেন।
Advertisement
গত ১৭ মে একই আদালত প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) প্রত্যাহার করেছিলেন।
নাইকো দুর্নীতির এ মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হকও আসামি।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
Advertisement
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
এফএইচ/এমএআর/এমএস