ধর্ম

জমজমের পানি পানে অসুস্থ হাজি দিব্যি সুস্থ!

'ভাই, দেশ থেকে আসার আগে হাঁটু ও পায়ের গোড়ালির ব্যথায় এক মিনিটও হাঁটতে পারতাম না। এখানে এসে ওমরাহ করার জন্য খোঁড়াতে খোঁড়াতে কাবা শরিফ তাওয়াফ করে দু'রাকাত নামাজ পড়ে সুস্থতার নিয়ত করে জমজমের পানি খেলাম। একটু পরে সাফা মারহাওয়া ৭ বার যাওয়া-আসা শুরু করলাম। হঠাৎ খেয়াল করি হাঁটু ও গোড়ালির ব্যথা অনেকটাই কম। এরপর থেকে শুধু জমজমের পানি খাচ্ছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে এসে প্রাণ ভরে পানি পান করি, বোতল ভর্তি করে হোটেলে নিয়ে যাই। আল্লাহর রহমতে আমি এখন দিব্যি সুস্থ আছি।’

Advertisement

বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে সৌদি আরব যাওয়া আবদুল লতিফ ঠিক এভাবেই পবিত্র কাবা শরিফে জমজমের পানির গুণকীর্তন করছিলেন।

নিয়ত করে জমজমের পানি খেলে যে কোনো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমন বিশ্বাসে প্রতিদিন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে আগত লাখ লাখ মুসলমান কাবা শরিফে এসে জমজমের পানি পান করছেন।

সরেজমিন দেখা যায় কাবা শরিফের ভিতর-বাইরে হাজার হাজার পানির নল ও জারের মাধ্যমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জমজমের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ও ঠাণ্ডা দুই ধরনের পানি পাওয়া যায়। তবে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ছোটবড় নির্বিশেষে সবাই ঠাণ্ডা পানিই বেশি পান করেন। এ কারণে হাজিদের অধিকাংশেরই ঠাণ্ডা, হাচি-কাশি লেগেই থাকে। প্রতি ওয়াক্তের নামাজের আগে পরে জমজমের পানির জন্য ভীড় লেগেই থাকে। কাবা শরিফের ভিতর ও প্রাঙ্গণে যেখানেই জমজমের পানি পাওয়া যায় সেখানে ওয়ান টাইম ডিসপোজাল গ্লাস ও তা ব্যবহারের পর ফেলে দেয়ার জন্য পাশেই ঝুঁড়ি থাকে। অনেকেই জমজমের পানি লাগেজে ভরে দেশে নিতে চান। কিন্তু লাগেজে পানি নেয়া নিষেধ। বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স দেশে পৌঁছানোর পর প্রত্যেক হাজির হাতে পাঁচ লিটারের জমজমের পানির কনটেইনার তুলে দেন। কিন্তু অনেকের মন মানে না। তারা নিজ হাতে ছোট বোতলে ভরে স্কচটেপে মুড়িয়ে জমজমের পানি নিয়ে আসেন। তবেই মনে শান্তি পান।

Advertisement

এমইউ/এমএমজেড/জেআইএম