আগের ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে দারুণ অবহেলার শিকার হন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে ব্যাট করতে পাঠানো হয় ৯ নম্বরে। যেখানে ৩, ৪ কিংবা ৫ নম্বরে ব্যাট করতে অভ্যস্ত, সেখানে বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যানকে পাঠানো হয়েছিল একেবারে শেষে। ফলও পেয়েছিল সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। হেরেছিল ত্রিনবাগো নাইটরাইডার্সের কাছে।
Advertisement
পরের ম্যাচেই জ্যামাইকা তালাওয়াহসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহর বীরোচিত ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক জয় পেলো সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। এই জয়ে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠে আসলো চার নম্বরে।
শেষ মুহূর্তে সেন্ট কিটস যখন একেবারে হারের মুখে। ক্রিস গেইল আউট হয়ে যাওয়ার পর শঙ্কাটা আরও বেশি ঘিরে ধরে। বেন কাটিং আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন রিয়াদ। এক সময় দেখা গেলো সেন্ট কিটসের প্রয়োজন ১৮ বলে ৪২ রান। এ সময়ই ওসান থমাসকে এক ওভারে ২৭ রান করেন ফন ডাসেন এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৪ রান নেন মাহমুদউল্লাহ। দুটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার মাধ্যমে।
পরের ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলে ১০ রান নেন মাহমুদউল্লাহ। মোট ওঠে ১৪ রান। মূলতঃ এই দুই ওভারেই খেলা শেষ হয়ে যায়। শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় মাত্র ২ রান। এই দুই রান নিয়ে সেন্ট কিটসের জয়ে ফিনিশিং টানেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই। ১১ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কা মারেন তিনি।
Advertisement
জয়ের জন্য ২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার আগেই বৃষ্টি হানা দেয়। যার ফলে বৃষ্টি আইনে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ১১ ওভারে ১১৮ রান। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এভিন লুইসের উইকেট হারায় সেন্ট কিটস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিস গেইল আর ডি ফন ডার ডাসেন ৫৩ রানের জুটি গড়েন।
২৪ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে যান গেইল। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ফন ডার ডাসেন ২৪ বলে করেন ৪৫ রান। বেন কাটিং আউট হন কোনো রান না করেই। এরপরই সেন্ট কিটসের জয়ের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রিয়াদ-গেইলদের দল।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেছিল জ্যামাইকা তালাওয়াহসের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে রোভম্যান পাওয়েল। মাত্র ৪০ বলে ৮৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস ২৯ বলে করেন ৪০ রান। ২০ বলে ৩২ রান করেন অ্যান্ড্রু মিলার। ৫ বলে ১৪ রান করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement