নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের চিটুয়া নওপাড়া ও চরবৈরাটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
Advertisement
আহতদের মধ্যে চরবৈরাটি গ্রামের আব্দুর রউফ খান (৫২), বিল্লাল হোসেন (৩০), বুলবুল আহমেদ (৫০), আসাদুজ্জামান (৩৩), শামছু মিয়া (৫০), হাবিবুর রহমান (৫০), মিলন (৩২), সেকুল মিয়া (৩০), আলাল (১৩), সোহেল বাশার (২২), শহীদ মিয়া (৪০), সাইদুল ইসলাম (৩৫), শামীম (৩০), নূর উদ্দিন (৪৫), বাকী বিল্লাহ (২৫), আলমগীর হোসেন (৩০), সেকুল মিয়া (৩৯), মইজ উদ্দিন (৩৫), সুরুজ মিয়া (৫০), আব্দুল খালেক (৪৩) ও সোহরাবকে (৪১) কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ (৫০), হেলাল ভূইয়া (৬০), আনোয়ার (৪০), সেলিম (৪০), হুমায়ূন (৩০), আপেল (৩০), সেলিম মিয়া (২৫) ও ওমর ফারুককে (৩৫) তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের রতন মিয়া ও চরবৈরাটি গ্রামের হেলিমের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ট্রলার) দিয়ে যাত্রী যাতায়াতের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছিলেন। কোরবানি ঈদের সপ্তাহ খানেক রোয়াইলবাড়ি বাজারে কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রোববার দুপুরে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় গ্রামের অন্তত ৫০ জন আহত হন।
পেমই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
কামাল হোসাইন/আরএআর/জেআইএম